উদ্যোক্তা তৈরি ও অবকাঠামো খাত উন্নয়ন অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ

10 hours ago 9

নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং অবকাঠামো খাত উন্নয়ন যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটি বিষয় একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে।

নতুন উদ্যোক্তারা অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেন। কারণ, তারা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন, যার ফলে বহু মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়, বেকারত্ব কমে এবং মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়। এছাড়া নতুন ব্যবসা ও উদ্ভাবন মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়াতে এবং দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সহায়তা করে।

একইভাবে অবকাঠামো হলো অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ভিত্তি। উন্নত অবকাঠামো ছাড়া সকল প্রকারের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কলকারখানার উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয় এবং অর্থনীতি মসৃণভাবে চলতে পারে না। নতুন উদ্যোক্তারা উদ্ভাবন ও বৃদ্ধির বীজ বপন করেন এবং অবকাঠামো সেই বীজকে বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত ভূমি তৈরি করে।

এই দুটি উপাদান একসঙ্গে কাজ করলেই একটি দেশের অর্থনীতি দ্রুত ও টেকসইভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে। কিন্তু নানাবিধ সমস্যার কারণে দেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না। অথচ বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, উদ্যোক্তা বলতে আমরা এমন একটি শ্রেণিকে বুঝি, যারা আত্মোন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অগ্রগতি সাধনের জন্য নতুন কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। সাধারণত, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারি খাতের অংশ ৫ শতাংশ হলে বেসরকারি খাত ৯৫ শতাংশ অবদান রাখে। বাংলাদেশে ব্যাপক উদ্যোক্তা উন্নয়ন না হলেও একটি বিশাল সংখ্যক নতুন উদ্যোক্তা আগ্রহী হয়েছে, এর মধ্যে কিছু ইনোভেশন এবং স্টার্ট আপদের কথাও বলা যায়। তবে এসব উদ্যোগ টিকিয়ে রেখে তা সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সহায়তায় কার্যকর ও অবিচ্ছিন্ন নীতিমালা ও সহায়তা দরকার।

তারা আরও বলছেন, অর্থনৈতিক গড় প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তা কর্মসংস্থান বা সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে তেমন সহায়ক হয়নি। কারণ, উদ্যোক্তা উন্নয়নে পূর্বশর্তগুলো যেমন- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, সহজলভ্য ঋণ, বাজার ব্যবস্থাপনা, সর্বোপরি রাজনৈতিক নিশ্চয়তার অভাব রয়েছে। আবার একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে তার বিশেষ কিছু গুণ থাকতে হয়। যেমন- উদ্যোক্তাকে প্রথমেই নতুন কিছু সৃষ্টির আগ্রহ থাকতে হয়।

উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার ঝুঁকি বহনের সাহস ও সামর্থ্য। তিনি যে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, সেখানে সফল হতে পারেন আবার ব্যর্থও হতে পারেন। তাকে সফলতা এবং ঝুঁকি গ্রহণ করতে হবে। তিনি যে পণ্য বা সেবা উদ্ভাবনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, বিভিন্ন দেশে সেই পণ্য বা সেবার বিদ্যমান অবস্থা কেমন তা তাকে জানতে হবে। কোম্পানি পরিচালনার মতো দক্ষতা অর্জন, হিসাব সংরক্ষণের মতো সামর্থ্য থাকতে হবে তার।

তাদের মতে, বাংলাদেশে নতুন এবং সফল উদ্যোক্তা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। কারণ, এখানে রয়েছে ১৭ কোটি মানুষের এক বিশাল বাজার। বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এবং উন্নত ও আধুনিক পণ্য ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ দিনদিনই বাড়ছে। তিন দশক আগেও বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবার ছিল মোট পরিবারের ১২ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। এগুলো বিবেচনায় নিলে বলা যায়, বাংলাদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ উদ্যোক্তা আছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। সফল উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে চাইলে কুটির শিল্প, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উন্নয়নের প্রতি জোর দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে কেউ যদি ক্ষুদ্র উদ্যোগ গড়ে তুলে সফলতা অর্জন করেন তার পক্ষে পরে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৃহৎ উদ্যোক্তায় পরিণত হওয়া সম্ভব।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো- বেসরকারি খাত। উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা ও আস্থা পুনঃস্থাপন ছাড়া শিল্প ও কর্মসংস্থান চাঙ্গা করা অসম্ভব। তাই এখনই সময় উদ্যোগী হওয়া, যেন ব্যবসায়ীরা দেশে থেকে নতুন বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হন, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং দেশের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য ফিরে আসে। এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতেও নীতিগত সহায়তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে- আস্থার সংকট। অনেক সময় নীতির ধারাবাহিকতা থাকে না। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা চালাতে পারবেন কি না—এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। এটিই মূল বাধা। আর এই আস্থা না ফিরলে অন্য সব উদ্যোগ তেমন ফল দেবে না। একটি স্বচ্ছ ও দ্রুত নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কর ও শুল্কনীতিতে পূর্বানুমানযোগ্যতা আনতে হবে। হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলানো যাবে না। তৃতীয়ত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে, যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়।

ড. ফাহমিদা আরও বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি না হলে বিনিয়োগ-টু-জিডিপি অনুপাত স্থবির থাকবে, ফলে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না, বেকারত্ব বাড়বে। আর যদি প্রবৃদ্ধি না বাড়ে এবং মূল্যস্ফীতি না কমে, তাহলে মানুষের ওপর চাপ বাড়বে। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হলে উদ্যোক্তাদের আস্থা ফেরানো একান্ত প্রয়োজন।

ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ শামীম বলেন, কোনো দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে প্রাণ সঞ্চার করতে হলে নতুন উদ্যোক্তার আগমন অপরিহার্য। উদ্যোক্তারা কেবল কর্মসংস্থান তৈরি করেন না, বরং উদ্ভাবন ও নতুন বাজারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জিডিপির একটি বিশাল অংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত থেকে আসে, যা মূলত উদ্যোক্তানির্ভর। অথচ, বাস্তবতা হলো- যে হারে এই উদ্যোক্তা শক্তি বিকশিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেই হারে তা হচ্ছে না। এই স্থবিরতার মূলে রয়েছে একাধিক কাঠামোগত দুর্বলতা, যার মধ্যে অপর্যাপ্ত ও দুর্বল ভৌত অবকাঠামো অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে।

সাকিফ শামীম আরও বলেন, উদ্যোক্তারা জাতির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হলেও তারা অপর্যাপ্ত ও দুর্বল অবকাঠামোর এক অদৃশ্য বাঁধনে আবদ্ধ। বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুসারে, দুর্বল ভৌত অবকাঠামোর কারণে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিচালন ব্যয় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। একটি রিপোর্টে দেখা যায়, দেশের প্রায় ৮৮ শতাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখনো সড়কপথের ওপর নির্ভরশীল, অথচ বেহলা সড়কপথ, ঘন ঘন যানজট এবং পরিবহন খাতে অব্যবস্থাপনা পণ্যের সময়মতো চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে। এর ফলে মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় ও পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে যায়, যা চূড়ান্তভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় এবং স্থানীয় পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় দুর্বল করে তোলে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ যেকোনো শিল্পের জন্য অপরিহার্য মৌলিক পরিষেবা। কিন্তু অনেক শিল্পাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা আজও কঠিন চ্যালেঞ্জ। বহু সম্ভাবনাময় উদ্যোগকে উৎপাদন শুরু করার আগেই জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হয়, যা জ্বালানি ব্যয় ও উৎপাদন ব্যয়কে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত, শিল্প পার্ক ও বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে প্লট বরাদ্দ পাওয়ার পরও উদ্যোক্তারা মাটি ভরাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানির সংকটের কারণে সময়মতো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারছেন না। এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন সামগ্রিকভাবে শিল্পায়নের গতিকে মন্থর করে।

‘অন্যদিকে, আমাদের বন্দর এবং রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক ও গতিশীল নয়। একটি পণ্য আমদানির পর তা বন্দর থেকে খালাস হতে যে দীর্ঘ সময় নেয়, তার কারণে উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত ডেমারেজ চার্জ গুণতে হয় এবং সাপ্লাই চেইনে স্থবিরতা দেখা দেয়। বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে যেখানে ‘জাস্ট-ইন-টাইম’ ডেলিভারি প্রয়োজন, সেখানে আমরা অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে সবসময়ই পিছিয়ে পড়ছি। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক সূচকে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকাটা এ বাস্তবতারই প্রমাণ দেয়।’

তিনি বলেন, অবকাঠামো সংকটের পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথে অর্থায়ন এবং প্রশাসনিক জটিলতা আরও দুটি বড় অন্তরায়। নতুন উদ্যোক্তারা প্রায়শই ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেতে ব্যর্থ হন। ঋণ খেলাপিদের কঠোরভাবে মোকাবিলার নীতি হয়তো সঠিক, কিন্তু অনেক সৎ ব্যবসায়ী যৌক্তিক কারণে ব্যবসা করতে না পারলেও তাদের এক পাল্লায় মাপা হচ্ছে, যার ফলে তারা নতুন ঋণ পাচ্ছেন না।

‘ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড কার্যকর করার আগে দেশের বিজনেস সিস্টেমকে সেই মানের উপযোগী করে তোলা প্রয়োজন ছিল। জামানতের অভাব, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতার অভাব অনেক তরুণ উদ্যোক্তাকে অকালে ঝরে যেতে বাধ্য করছে। এছাড়াও আমাদের সমাজে এখনো উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা সেভাবে তৈরি হয়নি। বেশিরভাগ অভিভাবক বা তরুণ-তরুণী একটি নিরাপদ, নিশ্চিত সরকারি বা করপোরেট চাকরির দিকে ঝুঁকতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।’

তিনি বলেন, পোল্ট্রি বা ছোট কৃষিভিত্তিক ব্যবসার মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হওয়ার উদাহরণ দেখে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উদ্যোক্তা হতে নিরুৎসাহিত করেন। সফলতার গল্পের চেয়ে ব্যর্থতার কাহিনিগুলো যেন বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই মানসিকতা পরিবর্তন করতে হলে সরকারকে কেবল অবকাঠামো নয়, বরং নীতিগত ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অনিবার্য। এর জন্য প্রয়োজন বহুমুখী ও সমন্বিত উদ্যোগ।

‘প্রথমত, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের সম্প্রসারণ এবং বন্দরের আধুনিকীকরণ জরুরি। দ্বিতীয়ত, ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়াকে সরলীকরণ করে ওয়ান স্টপ সেবাকে কাগজপত্রের জটিলতা মুক্ত করে সত্যিকার অর্থেই কার্যকর করতে হবে। তৃতীয়ত, উদ্যোক্তাবান্ধব অর্থায়ন নীতি প্রণয়ন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের জন্য জামানতবিহীন ঋণ বা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সুযোগ বাড়াতে হবে।’

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, উদ্যোক্তারাই অর্থনীতির প্রকৃত চালক। এই চালককে গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অবকাঠামোগত ঘাটতি দূর করে, অর্থায়নের পথ সুগম করে এবং একটি সহায়ক প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিত করার মাধ্যমেই শুধু আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি মজবুত করতে পারবো এবং কর্মসংস্থান সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে পাবো। তা না হলে, প্রবৃদ্ধির উচ্চহার ধরে রাখলেও তার সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো কঠিন হবে।

এমএএস/এমকেআর/এমএস

Read Entire Article