উন্মুক্ত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকার আহ্বান মন্ত্রণালয়ের

3 months ago 64

কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পরিবেশসম্মতভাবে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার সহযোগিতা কামনা করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

সরকারি তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এসময় যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয় যা প্রতিরোধে সবার সচেতন অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

এতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা (যেমন- গ্লাভস, মাস্ক, অ্যাপ্রোন) নিশ্চিত করতে হবে। পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্ট যেমন রক্ত, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং, গোবর ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয় বরং নির্ধারিত ডাস্টবিন বা নির্ধারিত স্থানেই ফেলা উচিত।

এতে বলা হয়, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা আমাদের সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে আমরা যেমন নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি আমাদের চারপাশকেও নিরাপদ রাখি।

এতে আরও বলা হয়, পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয় এটি আমাদের ইমানেরও অঙ্গ। আসুন পরিচ্ছন্ন কোরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করি এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি।

এমএএস/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article