* বেসরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে মাসে লেনদেন ৬-৭ কোটি টাকা
* এক উপজেলায় রয়েছে ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
* সারাদেশ থেকে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা
* সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন কর্মসংস্থান
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ৭৩টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আবাসিক সুবিধা থাকা ২৭টি বিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। ভালো ফলাফলের কারণে এরইমধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিচিতি পেয়েছে শিক্ষানগরী হিসেবে। একটি রেলস্টেশন ছাড়া কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকা এই উপজেলার অর্থনীতির চাকা ঘোরাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মাত্র দুই যুগ আগেও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়া ভালো মানের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। সেই চিরিরবন্দরে এখন পড়ালেখা করতে আসছে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। এখানকার আবাসিক স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়ে তারা জায়গা করে নিচ্ছে দেশের নামি দামি সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, গত দুই দশকে একের পর এক ভালো মানের ‘বোর্ডিং স্কুল’ বা আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পাশাপাশি শিক্ষানুরাগী ও শিক্ষকদের অবিরাম প্রচেষ্টার কারণে বদলে গেছে উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র। মোবাইল ও সামজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শিক্ষক-ছাত্রদের দূরে থাকা, কার্যকর ও সময়োপযোগী শিখন পদ্ধতি, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, নিয়মশৃঙ্খলা ও পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশের কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে শুধু দিনাজপুরই নয়; রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেক শিক্ষার্থী এই উপজেলায় পড়াশোনার জন্য আসছে। ফলে ‘শিক্ষানগরী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে চিরিরবন্দর।
এগিয়ে যাওয়ার গল্প
চিরিরবন্দরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বর্তমানে ১৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার ৭৩টি বেসরকারি। এর মধ্যে ২৭টিতে আবাসিক সুবিধা আছে। শিক্ষানুরাগী ডা. আমজাদ হোসেনের হাত ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে এই পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-
- এমপিও শিক্ষকদের বদলি নিয়ে আইনি জটিলতা, ‘কৌশলী’ মন্ত্রণালয়
- সন্তানহারা বাবা-মাকেও মাইলস্টোনে প্রবেশে বাধা, হেনস্তার অভিযোগ
- সেপ্টেম্বর নয়, টাইফয়েডের টিকাদান শুরু ১২ অক্টোবর
পেশায় চিকিৎসক আমজাদ হোসেন ২০০০ সালে উপজেলার ঘুঘরাতলীতে মা-বাবার নামে আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে যায়। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা পায় আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল। এক যুগের ব্যবধানে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলটিও অনেক বড় হয়েছে। সাড়ে আট একর জমিতে গড়ে উঠেছে বড় বড় ভবন ও খেলার মাঠ। ১৪০০ শিক্ষার্থীর এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী মিলে কর্মরত আছেন ১১১ জন।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলটিতে এবার ১৫৮ জন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ১৫৬ জন জিপিএ-৫ পাওয়াসহ শতভাগ পাস করেছে। এই ফলাফল তাদের ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলটিতে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হয়। ভর্তি ও পড়ালেখার জন্য কোনো প্রকার সুপারিশ শোনা হয় না। এখানে নিয়ম মেনে চলতে হয়। মোবাইল ও সামজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শিক্ষক-ছাত্রদের দূরে থাকা, কার্যকর ও সময়োপযোগী শিখন পদ্ধতি, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, নিয়মশৃঙ্খলা ও পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশের কারণে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ছাত্রদের মধ্যেও ভালো করার প্রতিযোগিতা গড়ে তোলা হয়। নিয়ম মেনে সপ্তাহে একটি মোবাইলে ৫ মিনিট বাবা-মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা রয়েছে। সপ্তাহে একদিন অভিভাবকরা দেখা করতে এবং সঙ্গে রাখতে পারেন। সন্ধ্যায় আবার রেখে যেতে হয়।
ক্যাম্পাসে রয়েছে টিভি দেখা, খেলাধুলার ব্যবস্থা এবং লাইব্রেরি। বিকেলে নির্ধারিত সময়ে এগুলো করতে হয়। রয়েছে ডিবেট টিম। ক্লাসের পড়ালেখা ক্লাসেই শেষ করতে হয়। সকাল ও সন্ধ্যার পরও ক্লাসে কোচিং করতে হয়। আবাসিক হলের কোনো রুমে কোনো বই নেই।
তিনি বলেন, তার বিদ্যালয়ে ১৭ জেলার শিক্ষার্থী রয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মিনি রিসোর্ট। তাদের খাওয়ার সবজি ক্যাম্পাসেই উৎপাদন হয়।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘুঘরাতলী এলাকায় বর্তমানে ৫০০ গজের মধ্যে বেসরকারি ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বিদ্যালয়ই আবাসিক। প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে।
শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও ভালো করার প্রতিযোগিতা চলে বলে জানালেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মোমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে চিরিরবন্দর শিক্ষানগরীর কথা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিভাবকদের একটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গুণগত মান ও পরিবেশ উন্নত করার একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মায়শা আক্তার। বাড়ি নওগাঁর পত্মীতলায়। মায়শার ভাই জিহান মোর্শেদও একই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। মায়শা জানায়, বাবা কলেজের শিক্ষক, মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুজনেই সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যান। তাই তাদের আবাসিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন।
রুটিন মেনে পড়াশোনা ও সহশিক্ষা
উপজেলার কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে সর্বনিম্ন ১২০০ থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে আবাসিকে থাকছে এক-তৃতীয়াংশ। কঠোর নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নিজস্ব খেলার মাঠ, গ্রন্থাগার, মসজিদ, কম্পিউটার ল্যাবরেটরিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষক শাহাজাহান সিরাজ জানান, শিক্ষার্থীরা ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে। এরপর সকালের নাশতা সেরে চলে যায় পড়ার কক্ষে। দুই ঘণ্টা পড়াশোনা শেষে ৮টায় অ্যাসেম্বলিতে (সমাবেশ) যোগ দিতে হয়। ৯টায় পাঠদান শুরু হয়ে চলে ৪টা পর্যন্ত। মাঝখানে এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নবিরতি থাকে। বিকেলে চলে সহশিক্ষা কার্যক্রম, খেলাধুলা, আড্ডা। সন্ধ্যা সাতটায় রাতের খাবার শেষে পড়ার কক্ষে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের কাছে কোচিং চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ১০টার পর হালকা নাশতা করে ঘুমাতে যায় শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ ৯ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর টিউশন ফি শ্রেণিভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
সাফল্যের দেখা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
চিরিরবন্দরে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী প্রতিবছর দেশের খ্যাতনামা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শুধু আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ এবং আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ১৪ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে, ৪ জন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), ৭৮ জন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১১ জন অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার কৃতি সন্তান ঢাকার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার একেএম ফাহমিদ নোমান বলেন, চিরিরবন্দরে একটি রেলস্টেশন ছাড়া তেমন কিছুই নেই। শহরতলীর একটি পিছিয়ে পড়া উপজেলা। সেই উপজেলা এখন দেশের অন্যতম শিক্ষানগরী। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা গুণগত মান এবং সুশিক্ষার জন্য চিরিরবন্দরের স্কুল-কলেজগুলোতে আসছে। আর এই শিক্ষা ব্যবস্থার হাত ধরে এই উপজেলার অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। আমরা রাজধানীতে কর্মস্থলে, বিভিন্ন সেমিনারে, কিংবা ভালো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শুনি চিরিরবন্দরে পড়ালেখা করেছে। তখন খুব ভালো লাগে। চিরিরবন্দরের সন্তান হিসেবে গর্বিত হই।
উপজেলার রানীবন্দর এলাকার সানলাইট স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন মাহমুদ হাসনাত। তিনি এবার বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি সেসময় বলেছিলেন, ‘একই বই, একই সিলেবাসের পরও প্রাইভেট স্কুলগুলো ভালো করছে। এর বড় কারণ হচ্ছে মনিটরিং সিস্টেম। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেয়ে পরিচালনা পর্ষদ অনেক সচেতন। একজন শিক্ষার্থীর জন্য যত সুন্দর পরিবেশ করা যায়, তার প্রায় পুরোটাই স্কুলে পেয়েছিলাম। নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে চলতে হয়েছে। যেটা এখনো ধরে রেখেছি।’
সচল করেছে অর্থনীতির চাকা
মানবাধিকার কর্মী মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ বলেন, শিক্ষা নগরী চিরিরবন্দরে একাধিক মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। প্রতিমাসে প্রায় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হচ্ছে। যা এই উপজেলার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে।
উপজেলা শহরের ৫নং আব্দুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ময়েন উদ্দীন শাহ বলেন, আমাদের এলাকায় শিল্প কারখানা না থাকলেও এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠার কারণে। বড় বড় সুদর্শন ভবন এবং বিশাল বিশাল ক্যাম্পাস চোখে পড়ার মতো। এই এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও এর প্রতিফলন ঘটিয়েছে। পাশাপাশি সুনাম ছড়িয়েছে সারাদেশে।
চিরিরবন্দর ব্যবসায়িক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আসাদু দ্দৌলা শাহ্ বলেন, চিরিরবন্দর শিক্ষা নগরী হাওয়ার পর বদলে গেছে এলাকার চিত্র। এখানে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা, জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত পরিবার। প্রতি মাসে এই শিক্ষানগরীতে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো ঘিরে প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পরিবর্তনও এসেছে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর হাত ধরে।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার দেলওয়ার হোসেন বলেন, পিছিয়ে পড়া উপজেলাকে সারাদেশে পরিচিত করে তুলেছে বেসরকারি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদ্যালয়গুলোর সুবাদে মুচি থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। আগে অনেক ব্যাংকের শাখা ছিল না এই উপজেলায়। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলো চালু হওয়ায় এই উপজেলায় অর্থনৈতিক চাকা সচল হয়েছে। অনেক ব্যাংক এখন সেখানে শাখা খুলতে না পারলেও এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী বলেন, গত দুই দশকে এ উপজেলা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়ায় এখানকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করছে। স্কুলগুলোর চমৎকার পরিবেশে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠছে।
এএএমএইচএম/এফএ/জেআইএম