প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করায় জয়পুরহাটের এক প্রাথমিক শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
অভিযুক্ত শিক্ষক মু. মাহবুবর রহমান জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার (চ.দা.) মমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাহবুবর রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে তা লাইভ করেন। এ ধরনের পোস্টে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ইমেজ ক্ষুন্ন হওয়ায় বিষয়টি ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ এর ৭(ঘ) এবং ১০ (৫) (ছ) (পরিমার্জিত সংস্করণ) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা’ ২০১৮-এর পরিপন্থি।
এ অবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব পত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।
বিষয়টি জানতে সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান কালবেলাকে বলেন, ফ্যাসিস্ট চলে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদী আইন এখনো রয়ে গেছে। জালেম নেই, কিন্তু জালেমের জুলুম রয়েই গেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা ছাড়া স্বচ্ছতা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা এবং ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকার পোস্ট করায় আমার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ জুন বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। ৫ আগস্টের পরেও নতুন বাংলাদেশে আমরা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছি না। এ বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ছাত্র- জনতার সমন্বয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মমিনুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে মোবাইলে কিছু বলা যাবে না। আপনি সামনাসামনি আসেন কথা বলব।