২ জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন কমিশন ঘোষণার আশ্বাসে চারদিন পর আমরণ অনশন শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৫ মে) রাত ৮টার টার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।
গত ২১ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় থেকে অনশন শুরু করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. বিন ইয়ামিন মোল্লা, একই সংগঠনের ঢাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। তবে আজ উপাচার্য ২ জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে তারা অনশন প্রত্যাহারে সম্মত হন।
জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘ভিসি স্যারের পক্ষ থেকে সাম্য হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তিনি ২ জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া নিরাপদ, বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের প্রতিও তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই আমরা অনশন ভেঙেছি।’
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু ভিসি স্যারের আশ্বাসে এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীল মনোভাব দেখে আপাতত অনশন প্রত্যাহার করেছি। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিকে আমরা নজর রাখবো। কথার খেলাপ হলে আমরা আবারও রাজপথে ফিরবো।’
অনশন ভাঙানোর সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। তাদের হাতেই পানি পান করে অনশন ভাঙেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। আমরা এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ২ জুনের মধ্যে কমিশন গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করবো। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে এসব বাস্তবায়নে কাজ করবে।
তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে তারা ফের কঠোর আন্দোলনে ফিরবেন তারা।
এফএআর/ইএ/জেআইএম