তুমি অন্ধকার ভেদি তীব্র আলোক জ্যোতি,
স্নিগ্ধ সকাল, পেলব দুর্বায় চকচকে শিশির,
টিলা গাঁয়ের রাঙা বাঁকা পথের শেষে -
শান্তি পরিপাটি কুটির,
তুমি জলে ঢিলের টঙ্কার,
তরঙ্গের আছড়ে পড়া সফেদ ঢেউ,
আমার উচ্ছল ঝিলের সদ্য ফোটা পদ্মের পাঁপড়ি,
গন্তব্যের ঠিকানা তুমি -
চিঠির ভাঁজে গুঁজে দেওয়া স্নেহের পরশ,
তুমি শুকতারার শতবর্ষী গল্পের অলংকার,
তুমি আমার অন্তরাত্মা,
আমার সর্বহারা হাহাকার শেষে শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি!
.
মেঘের বাহুডোরে বাঁধা ছিল পাহাড়ের বনভূমি,
এই শুষ্ক সকালে স্নাত হাসনুহেনা বৃষ্টির পানে- কৃতজ্ঞ পাঁপড়ি মেলে স্থির,
তুমি সেই পরশ হলে কি অবলীলায়, মেঘের মতো
বৃষ্টির মতো,
আমার পললে যত্নে গড়ে উঠেছে সে বাগান!
এ সকল ফুল তাই, তোমার শোভা পাক তোমার খোঁপায়।
.
[কবি উৎকলিত রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী; বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ’ এর সঙ্গে কাজ করছেন।]