উড়তে থাকা চিটাগংকে মাটিতে নামিয়ে টানা অষ্টম জয় রংপুরের

5 hours ago 5

প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হার। এরপর টানা চার ম্যাচ জিতে হাওয়ায় উড়ছিল চিটাগং কিংস। অবশেষে তাদের মাটিতে নামালো এবারের বিপিএলে অজেয় জয়ে ওঠা রংপুর রাইডার্স।

চিটাগংকে ৩৩ রানে হারিয়ে টানা অষ্টম জয় তুলে নিলো নুরুল হাসান সোহানের দল। চার ম্যাচ পর হারের স্বাদ পেলো মোহাম্মদ মিঠুনের চিটাগং।

১৬৫ রান তাড়ায় প্রথম বলেই উসমান খানকে হারায় চিটাগং। তবে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ঝড় তুলে সেই ধাক্কা কাটিয়ে দেন। ১৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও উপহার দেন ইমন।

এরপর এক ওভারে আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চিটাগং। আকিফ জাভেদ বোল্ড করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে (৫ বলে ২), ২০ বলে ২৩ করে আউট হন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গ্রাহাম ক্লার্ক।

২৪ বলে ১৯ রানের ধীর ইনিংস খেলে নাইম ইসলাম ফিরলে আরও চাপে পড়ে চিটাগং। ১৫তম ওভারে মোটে ১০৬ রান তুলে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে দলটি। এরপর বরাবরের মতো অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করেছেন শামীম পাটোয়ারী।

কিন্তু ৩১ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ৩৮ রানে থামতে হয় শামীমকে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩১ রানে থামে চিটাগং।

আকিফ জাভেদ ৩২ রানে নেন ৪টি উইকেট।

এর আগে খুশদিল শাহ একাই হাঁকালেন ৭ ছক্কা। ২৬ বলে করেন ফিফটি। খুশদিলের এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে রংপুর রাইডার্সের পুঁজিটা ৭ উইকেটে দাঁড়ায় ১৬৪।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্সের শুরুটা ভালো ছিল না। বিনুরা ফার্নান্ডো-মারুফ মৃধাদের প্রথম দুই ওভারের সুইংয়ে রীতিমত ঘাম ঝরেছে রংপুরের দুই ওপেনার তৌফিক খান আর স্টিভেন টেলরের।

১৬ বলের ওপেনিং জুটিতে ওঠে মাত্র ৯ রান। তৃতীয় ওভারে বিস্ময় স্পিনার আলিস আল ইসলাম এসেই উইকেট তুলে নেন। ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন তৌফিক। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩১ রান তুলতে পারে রংপুর।

সাইফ হাসানকে নিয়ে একটি জুটিও গড়ে ফেলেন টেলর। কিন্তু সাইফ ১৮ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। আলিসের বলে এলবিডব্লিউ হলে রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি।

টানা তিন ওভারে ৬ রান তুলতে তিন উইকেট হারায় রংপুর। সাইফ ফেরার পরের ওভারে টেলর (৩২ বলে ৩৯) ফিরতি ক্যাচ দেন নাইম ইসলামকে। তার পরের ওভারে ইফতিখার আহমেদকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন আরেক স্পিনার আরাফাত সানি। ইফতিখার করেন ৫ বলে ৩।

সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও। ১০ বলে ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তবে খুশদিল শাহ ঠিকই ঝড় চালিয়ে গেছেন। ২৬ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন ছক্কা হাঁকিয়ে।

২৮ বলে ৭ ছক্কা আর ২ বাউন্ডারিতে ৫৯ রান করে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে চড়াও হয়ে বল আকাশে ভাসিয়ে দেন খুশদিল। ওয়াসিম নিজেই নেন ক্যাচ। ওই ওভারেই তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন খুশদিল।

শেষদিকে শেখ মেহেদী ১২ বলে করেন ১৭ রান। আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৬৪ রানে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম ২৮ রানে আর মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪২ রানে নেন দুটি করে উইকেট।

এমএমআর/এমআরএম

Read Entire Article