এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ধনী যুক্তরাজ্য ছাড়তে পারেন

4 months ago 41

দরজায় কড়া নাড়ছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে দেশটিতে। কারণ ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি লেবার পার্টির কাছে হারতে পারে। ফলে নতুন করে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও ট্যাক্স বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যক মিলিয়নিয়ার যুক্তরাজ্য ছাড়তে পারে।

অভিবাসনবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, অন্তত এক মিলিয়ন পাউন্ডের নগদ ও বিনিয়োগযোগ্য সম্পত্তি রয়েছে এমন ৯ হাজার ৫০০ ধনী চলতি বছর যুক্তরাজ্য ছাড়তে পারেন, যা গত বছর ছেড়ে যাওয়া ধনীদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

ইনস্টিটিউট ফর গভর্নমেন্টের প্রধান নির্বাহী হানা হোয়াইট বলেছেন, বিভিন্ন কারণে যুক্তরাজ্য আর ধনীদের কাছে আকর্ষণীয় থাকছে না। তাছাড়া ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত থাকবে। এমনকি লন্ডনও এখন আর অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে থাকছে না।

আরও পড়ুন>

নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ নামের একটি বিনিয়োগ কোম্পানির এক লাখ ৫০ হাজার ধনীর তথ্য-পরিসংখ্যানেরভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। মূলত যে সব ব্যক্তি তাদের নতুন দেশে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকেন, তাদের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, প্রেসিডেন্ট, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা অংশীদাররা গুরুত্ব পেয়েছেন।

প্রত্যেক বছরই ধনীরা তাদের স্থান পরিবর্তন করে থাকেন। তারই অংশ হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ ধনী যুক্তরাজ্য ছাড়েন। প্রাইভেট ওয়েলথ মাইগ্রেশন প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বের ১ লাখ ২৮ হাজার ধনী দেশ পরিবর্তন করতে পারেন, যা গত বছরের আট হাজারের তুলনায় অনেক বেশি।

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ব্যক্তি শ্রেণির ভোক্তাবিষয়ক শাখার প্রধান ডমিনিক ভলেক এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্ব যখন ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক উত্থানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন রেকর্ড সংখ্যক ধনীরা দেশ ছাড়ছেন।

বিশ্বের যে ১৫টি দেশে বেশি ধনীদের বসবাস, তার মধ্যে যুক্তরাজ্যে থেকে বেশি ধনী অন্য দেশে যেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে কেবল চীনই ছাড়িয়ে যাবে, কারণ ২০২৪ সালে চীন থেকে ১৫ হাজার ২০০ ধনী অন্যত্র চলে যেতে পারেন।

২০১৩ সালের পর জাপান ও হংকংয়ে অতি ধনীর সংখ্যা কমেছে। তবে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সে ধনীর সংখ্যা বেড়েছে।

এমএসএম

 

 

Read Entire Article