এই আমানতের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের প্রথম কাজ : মহিউদ্দীন

7 hours ago 7
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন খান বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।  বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলে দেখা গেছে, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মো. মহিউদ্দীন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট। বিজয়ী হওয়ার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে মহিউদ্দীন লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমরা আমাদের এই ঐতিহাসিক বিজয়কে তখনই পূর্ণ মনে করব, যেদিন আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূর্ণ করতে পারব। এই আমানতের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের প্রথম অঙ্গীকার।’  তিনি লেখেন, ‘বন্ধুর এই যাত্রায় সকল বাধা মাড়িয়ে আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সমর্থন, পরামর্শ আর সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের আপনারা পথ দেখাবেন সেই প্রত্যাশা রাখি। আল্লাহ আমাদের হঠকারী এবং অহংকারীতে পরিণত হওয়া থেকে পরিত্রাণ দান করুন, আমাদের পথকে মসৃণ করে দিন।’  এদিকে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। তবে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আবিদুল ইসলাম খান ও উমামা ফাতেমা। এ ছাড়া আব্দুল কাদেরও নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। জগন্নাথ হল ছাড়া বাকি সব হলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন ফরহাদ। তবে জগন্নাথ হলে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট। সেখানে বাম সমর্থিত মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ১ হাজার ১৭০ ভোট এবং ছাত্রদল সমর্থিত হামীম পেয়েছেন ৩৯৮ ভোট। এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ডাকসু নির্বাচন। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে স্থাপিত ৮১০টি বুথে ডাকসু ও হল সংসদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ভোটার ছিলেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯১৫ জন। ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এ ছাড়া প্রতিটি হলে (১৮টি) ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সব মিলিয়ে ৪১টি পদে ভোট প্রদান করতে হয়েছে।  
Read Entire Article