‘এই দেশ সবার’ জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা থেকে সম্প্রীতির আহ্বান

1 day ago 5

‘এই দেশ হিন্দুর, এই দেশ মুসলমানের, এই দেশ বৌদ্ধের, এই দেশ খ্রিস্টানের’ উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এ আহ্বান জানিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকারের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের পদভারে মুখর নগরীতে। 

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে নগরের আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা লালদিঘি, নিউমার্কেটসহ নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জে এম সেন হলে গিয়ে শেষ হয়।

বাহারি সাজে সজ্জিত ভক্তদের অংশগ্রহণে শহরের রাস্তায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভক্তদের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল, তবুও ঢাক-ঢোলের তালে শোভাযাত্রা ছিল প্রাণবন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেন, ‘জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে চট্টগ্রাম সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছে। আগামীতে যে সরকার আসবে, তারা নিশ্চয়ই সনাতন সমাজের দাবিগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘সবার ওপরে মানুষ সত্য। এই সত্য যদি আমরা ধারণ করি, তবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’

এ আয়োজনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মের মানুষের জন্য আমার এই শহর হবে নিরাপদ। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে আশীর্বচন দেন পটিয়া পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিতও।

জানা যায়, আগামীকাল রোববার ও পরশু সোমবার দুই দিন চলবে ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানাম সংকীর্ত্তন। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ।

প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রায় ৫ হাজার ২০০ বছর আগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে পালন করে আসছেন। প্রেম, সত্য, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমনেই তার আবির্ভাব এবং জন্মাষ্টমী ব্রত পালনে সৌভাগ্য, আরোগ্য এবং পাপমোচন লাভ হয় বলেও ভক্তদের বিশ্বাস।

Read Entire Article