এই ৬ অভ্যাস নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে আপনার মেরুদণ্ডকে

আমাদের দৈনন্দিন ছোট ছোট অভ্যাসই আসলে পিঠ বা মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না, ছোট ভুলগুলো ধীরে ধীরে পিঠের ব্যথা এবং অস্বস্তি তৈরি করছে। ভারতের পরিচিত নিউরোসার্জন ডা. গৌরব বাত্রা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, পিঠের ব্যথা একদিনে আসে না; এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। তবে কিছু সচেতন অভ্যাসের পরিবর্তন দিয়ে মেরুদণ্ডকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব। এখানে ডা. গৌরবের মতে এমন ৬টি অভ্যাস, যেগুলো এড়ানো উচিত: ঘণ্টার পর ঘণ্টা একভাবে বসে থাকা : অফিসে টানা বসে কাজ করলে কোমরের নিচের অংশে চাপ পড়ে। বাঁকা হয়ে বসা বা ঘাড় নিচু করে স্ক্রিন দেখার কারণে পেশি ও ডিস্কে টান ধরে, যা দীর্ঘমেয়াদে কোমর ব্যথা বা ডিস্ক সমস্যার কারণ হতে পারে। প্রতিদিন প্রতি ঘণ্টায় একবার উঠে হাঁটুন, স্ক্রিন চোখের সমতলে রাখুন এবং কোমরের নিচে সাপোর্ট ব্যবহার করুন। মোবাইলে অতিরিক্ত সময় কাটানো : ঘাড় নিচু করে ফোনে তাকানো আপনার ঘাড়ের পেশিতে ৫-৬ গুণ বেশি চাপ দেয়। ফলে ‘টেক নেক’ নামে নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফোন চোখের সমতলে ধরুন, দুই হাতে ব্যবহার করুন, মাঝে মধ্যে ঘাড় হালকা নাড়াচাড়া করুন। অলস জীবনধারা : অনে

এই ৬ অভ্যাস নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে আপনার মেরুদণ্ডকে

আমাদের দৈনন্দিন ছোট ছোট অভ্যাসই আসলে পিঠ বা মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না, ছোট ভুলগুলো ধীরে ধীরে পিঠের ব্যথা এবং অস্বস্তি তৈরি করছে।

ভারতের পরিচিত নিউরোসার্জন ডা. গৌরব বাত্রা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, পিঠের ব্যথা একদিনে আসে না; এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। তবে কিছু সচেতন অভ্যাসের পরিবর্তন দিয়ে মেরুদণ্ডকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব।

এখানে ডা. গৌরবের মতে এমন ৬টি অভ্যাস, যেগুলো এড়ানো উচিত:

ঘণ্টার পর ঘণ্টা একভাবে বসে থাকা : অফিসে টানা বসে কাজ করলে কোমরের নিচের অংশে চাপ পড়ে। বাঁকা হয়ে বসা বা ঘাড় নিচু করে স্ক্রিন দেখার কারণে পেশি ও ডিস্কে টান ধরে, যা দীর্ঘমেয়াদে কোমর ব্যথা বা ডিস্ক সমস্যার কারণ হতে পারে। প্রতিদিন প্রতি ঘণ্টায় একবার উঠে হাঁটুন, স্ক্রিন চোখের সমতলে রাখুন এবং কোমরের নিচে সাপোর্ট ব্যবহার করুন।

মোবাইলে অতিরিক্ত সময় কাটানো : ঘাড় নিচু করে ফোনে তাকানো আপনার ঘাড়ের পেশিতে ৫-৬ গুণ বেশি চাপ দেয়। ফলে ‘টেক নেক’ নামে নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফোন চোখের সমতলে ধরুন, দুই হাতে ব্যবহার করুন, মাঝে মধ্যে ঘাড় হালকা নাড়াচাড়া করুন।

অলস জীবনধারা : অনেক সময় ধরে বসে থাকা, ব্যায়াম না করা বা পর্যাপ্ত হাঁটাচলা না করা স্পাইনের সহায়ক পেশি দুর্বল করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, হালকা স্ট্রেচিং এবং কোর এক্সারসাইজ করুন।

ভুলভাবে ভার তোলা : কোমর না ভাঁজ করে ভারী জিনিস তোলার ফলে ডিস্কে চাপ পড়ে এবং হঠাৎ স্প্যাজম হতে পারে। ভার তোলার সময় হাঁটু ও কোমর ভাঁজ করুন, বস্তুটি শরীরের কাছাকাছি রাখুন এবং ঘুরে ভার তুলবেন না।

অতিরিক্ত নরম বিছানায় ঘুমানো : নরম বিছানা মেরুদণ্ডের প্রাকৃতিক বাঁক নষ্ট করে দেয়। মাঝারি শক্তির ম্যাট্রেস ব্যবহার করুন যা পিঠকে সঠিকভাবে সমর্থন দেয়।

পেটের ওপর ভর দিয়ে ঘুমানো : এই অবস্থায় ঘুমালে ঘাড় ও নিচের পিঠে অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। পাশে কাত হয়ে ঘুমান এবং হাঁটুর মাঝে একটি বালিশ রাখুন যাতে মেরুদণ্ডের প্রাকৃতিক রেখা ঠিক থাকে।

মেরুদণ্ড আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছু ছোট পরিবর্তন এনে আমরা পিঠকে সুস্থ রাখতে পারি। আজ থেকেই এই অভ্যাসগুলো এড়ানো শুরু করুন, মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখুন এবং পিঠের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকুন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow