এইচএমপিভি ভাইরাস থেকে বাঁচতে যেসব কাজ করবেন
করোনাভাইরাসের পর আবার নতুন করে পুরো বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এইচএমপিভি ভাইরাস, যা বিশ্বেবাসীর জন্য হুমকিস্বরূপ। নতুন এ ভাইরাস করোনার মতো ভয়াবহ না হলেও লক্ষণ করোনার মতোই।
এইচএমপিভি সাধারণত আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাশি থেকে ছড়িয়ে থাকে। আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' সিডিসি মতে, এইচএমপিভি মূলত এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে দিলে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, শিশু ও বয়স্করা। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু নিয়মে মেনে চললেই এইচএমপিভি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. হাত পরিষ্কার রাখা
বাইরে থেকে আসার পর বা কোনো কিছু র্স্পশ করার পর ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে। হাত ধরার ব্যবস্থা না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
২. মাস্ক পরা
বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক এমন ভাবে পরতে হবে যাতে নাক মুখ ভালো করে ঢাকা থাকে।
৩. রেসপিরেটরি ম্যানার্স
হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় নাক মুখে হাত বা কনুই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এ ছাড়াও টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন।
৪. একাধিক ব্যক্তির স্পর্শ করা হয় এমন জিনিসগুলো পরিষ্কার করুন
দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন এবং কিবোর্ডের মতো বারবার স্পর্শ করা জিনিসগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।
৫. অসুস্থ ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন
অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যাদের এ সময় সর্দিকাশি জনিত সমস্যা আছে।
৬. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন
জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে বাইরে হওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসাসেবা নিন।