এএসপি পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

1 day ago 7
পুলিশের এএসপি পরিচয় দিয়ে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে ভিকটিমদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক পেশাদার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।  রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক ফখরুল ইসলাম বিজয়কে (৩০) গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির এন্টি ইলিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম। সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর দুপুরে জনৈক আল আমিন ঢালীর ম্যাসেঞ্জারে একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রেরণ করলে ওই ঘটনায় আল আমিন ডিএমপির গুলশান থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ফখরুল আল আমিনকে ফোন করে হোয়াটসঅ্যাপে ওই জিডির কপি পাঠিয়ে নিজেকে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এএসপি পরিচয় দেয় এবং এটিইউর সাইবার ক্রাইম বিভাগে কাজ করে বলে জানায়।  আরও জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফখরুল ফোন করে ওই জিডির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে আল আমিনের নিকট টাকা দাবি করে। সরল বিশ্বাসে ভিকটিম আল আমিন প্রথমে তাকে দুই হাজার ১৯০ টাকা দেয়। পরে ফখরুলের কথা মতো ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে সর্বমোট পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু সেই জিডির সমস্যা সমাধান করতে ফখরুল আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করলে আল আমিন বুঝতে পারেন ফখরুল একজন প্রতারক। পরে ভিকটিম আল আমিন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে প্রতারক ফখরুল তার ফেক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আল আমিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে গুলশান থানায় একটি প্রতারণার মামলা ‍রুজু করা হয়। সিটিটিসি সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা রুজুর পর ভিকটিম আল আমিন সিটিটিসিকে এই অভিনব প্রতারণার বিষয়টি অবহিত করলে সিটিটিসি এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করে। অতঃপর রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফখরুল ইসলাম বিজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সিটিটিসি জানায়, প্রতারক ফখরুল কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে থানায় অথবা অনলাইনে দায়েরকৃত মিসিং জিডির কপি সংগ্রহ করতো। পরবর্তীতে নিজেকে এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) সাইবার ক্রাইমের এএসপি পরিচয় দিয়ে সেই জিডির সমস্য সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিতো। গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। 
Read Entire Article