এক কর্মীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

21 hours ago 3

দলীয় প্রোগ্রামে অংশ না নেওয়ায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলে প্রবেশে বাধা ও রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাদমান সাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির কৃষি অনুষদের ৮৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নিজেও ছাত্রদলের কর্মী।

সাদমান সাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রদলের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে নানান প্রোগ্রামে অংশ নিতাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমি ৭৮তম ব্যাচের ছাত্র মারুফের সঙ্গে প্রোগ্রামে যাওয়া বন্ধ করি। এরপর প্রোগ্রামে না যাওয়ার কারণে গত ১২ অক্টোবর আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর আমার বায়োকেমিস্ট্রি পরীক্ষা থাকলেও রুমে ঢুকতে না পারায় পড়াশোনা করতে পারিনি, এমনকি পরীক্ষাও দিতে পারিনি।

জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মারুফ নির্ধারিত সময়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে না পারায় ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। তবুও তিনি অবৈধভাবে হলের সিট দখল করে আছেন।

আরও পড়ুন
রাকসুর ২৩ পদের ২০টিতেই জয়ী শিবিরের প্যানেল
ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মারুফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওর সিট ফেলার (হল থেকে বের করে দেওয়ার) আমি কে? এটা ওর ব্যাচের সিদ্ধান্ত।

একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী মো. হাসান বলেন, আগে তাকে ব্যাচ থেকে বয়কট করার ঘটনাটি আমাদের ব্যাচের সিদ্ধান্ত ছিল, তবে হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা পরে আমরা জানতে পারি, আগে জানতাম না।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস বলেন, ছাত্রদলের কোনো প্রোগ্রামে না যাওয়ার কারণে কাউকে সিট থেকে বের করে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। একজনের সিট ফেলার খবর পেয়েছি, তবে সেটা তাদের ব্যাচের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বা ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা কখনো জোরজবরদস্তি করি না। যারা সংগঠনের ভেতর অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করছে, তাদের পরিহার করা উচিত।

এ বিষয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ মাহমুদ বলেন, একজন শিক্ষার্থী আমাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি তাকে অফিসে এসে বিস্তারিত বলার জন্য বলেছি, কিন্তু সে আর আসেনি। যদি সুস্পষ্ট অভিযোগ পাই, ব্যবস্থা নেবো।

সাইদ আহম্মদ/কেএসআর/জেআইএম

Read Entire Article