ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক চিকিৎসকের সহকারীকে প্রকাশ্যে পিটিয়েছেন মহিউদ্দিন মৃধা নামের আরেক চিকিৎসক। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় আহত কর্মচারী ইয়াছিন চৌধুরী বাদী হয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক মহিউদ্দিন মৃধা ও চিকিৎসক সৌরব সাহার ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। চিকিৎসক সৌরব সাহার চেম্বারের সহকারী ইয়াছিন চৌধুরী। আর মহিউদ্দিন মৃধার চেম্বারে সহকারীর নাম হাসেনা বেগম। হাসেনা বেগম ও ইয়াছিন চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াছিন চৌধুরীকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন চিকিৎসক মহিউদ্দিন মৃধা।
এসময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং স্থানীয়রা দৌড়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। পুরো ঘটনাটি ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
আহত ইয়াছিন চৌধুরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মারধরের শিকার ইয়াছিন চৌধুরীর ভাষ্য, ‘মহিউদ্দিন স্যারের সহকারী হাসেনা বেগম আমাকেসহ আমার মেয়ে ও মেয়ে জামাতাকে জড়িয়ে গালিগালাজ করলে আমি প্রতিবাদ করি। এ কারণে মহিউদ্দিন স্যার আগেও একদিন আমাকে চড়থাপ্পড় মারেন। সোমবার আমি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। এসময় মহিউদ্দিন স্যার মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের পাইপ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মহিউদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ইয়াছিন চৌধুরী আমার চেম্বারের সহকারীর সঙ্গে রোগী টানাটানি নিয়ে ঝগড়া করে তাকে মারধর করেছে। স্থানীয় সালিশে জরিমানাও দিয়েছে। সোমবার আবারও ঝগড়া করে আমার সম্পর্কে মিথ্যা-খারাপ মন্তব্য করায় তাকে মারধর করেছি। তবে এটা করা ঠিক হয়নি।’
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। ওই কর্মচারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম