এক নামের সবাইকে কি মাফ করে দেওয়া হবে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

ইসলামে মানুষের নামের গুরুত্ব শুধু সামাজিক পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আখিরাতের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। হাদিসে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন মানুষকে তার নাম ও পিতার নাম ধরে ডাকা হবে। ফলে, শিশুর নামকরণ কোনো সাধারণ বিষয় নয়; বরং এটি একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। নাম রাখার ক্ষেত্রে আমরা কোনো নবীর নামে বা কোনো সাহাবি কিংবা বড় আলেম-মনীষীর নামে নিজেদের সন্তানের নাম রাখি। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। নবীজি (সা.) নিজ সন্তানের নাম রেখেছিলেন মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের নামানুসারে। কিন্তু অনেককে বলতে শোনা যায় যে, নিজ সন্তানের নাম যদি কোনো নবী বা কোনো বুজুর্গের নামে রাখা হয়, তাহলে কেয়ামতের দিন যখন ওই নবী বা বুযুর্গের নাম ঘোষণা করা হবে, তখন ওই নামের যত মানুষ আছে সবাই দাঁড়িয়ে যাবে; এ সময় আল্লাহ তায়ালা ওই নামের ওসিলায় সবাইকে মাফ করে দেবেন। তাই প্রশ্ন জাগে, এই কথা কি আসলেই সত্য? শরিয়তে কি এর কোনো ভিত্তি আছে? এ প্রসঙ্গে জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম, মিরপুর-১২ এর ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী কালবেলাকে বলেন, এটি একটি কল্পনাপ্রসূত কথা, যার কোনো ভিত্তি নেই। সঙ্গে সঙ্গে তা শরিয়তের মেজ

এক নামের সবাইকে কি মাফ করে দেওয়া হবে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

ইসলামে মানুষের নামের গুরুত্ব শুধু সামাজিক পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আখিরাতের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। হাদিসে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন মানুষকে তার নাম ও পিতার নাম ধরে ডাকা হবে। ফলে, শিশুর নামকরণ কোনো সাধারণ বিষয় নয়; বরং এটি একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।

নাম রাখার ক্ষেত্রে আমরা কোনো নবীর নামে বা কোনো সাহাবি কিংবা বড় আলেম-মনীষীর নামে নিজেদের সন্তানের নাম রাখি। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। নবীজি (সা.) নিজ সন্তানের নাম রেখেছিলেন মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের নামানুসারে।

কিন্তু অনেককে বলতে শোনা যায় যে, নিজ সন্তানের নাম যদি কোনো নবী বা কোনো বুজুর্গের নামে রাখা হয়, তাহলে কেয়ামতের দিন যখন ওই নবী বা বুযুর্গের নাম ঘোষণা করা হবে, তখন ওই নামের যত মানুষ আছে সবাই দাঁড়িয়ে যাবে; এ সময় আল্লাহ তায়ালা ওই নামের ওসিলায় সবাইকে মাফ করে দেবেন। তাই প্রশ্ন জাগে, এই কথা কি আসলেই সত্য? শরিয়তে কি এর কোনো ভিত্তি আছে?

এ প্রসঙ্গে জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম, মিরপুর-১২ এর ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী কালবেলাকে বলেন, এটি একটি কল্পনাপ্রসূত কথা, যার কোনো ভিত্তি নেই। সঙ্গে সঙ্গে তা শরিয়তের মেজাজেরও খেলাফ কথা। কারণ, প্রতিটি ব্যক্তির ইমান-আমল অনুসারে তার ফয়সালা হবে। নামের কারণে কাউকে মাফ করে দেওয়া হবে- এমনটি ভাববার কোনো সুযোগ শরিয়তে নেই।

আব্দুর রহমান হোসাইনী আরও বলেন, তবে নাম অবশ্যই ইসলামসম্মত ও সুন্দর অর্থবোধক হতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, নিশ্চয় কেয়ামতের দিন তোমাদের তোমাদের পিতার নামসহ ডাকা হবে; সুতরাং তোমরা সন্তানদের সুন্দর নাম রাখো। (আবু দাউদ : ৪৯৪৮)

প্রসঙ্গত, অনেকে সন্তানের নাম আব্দুস সাত্তার বা এ জাতীয় নাম রাখতে চান না। তারা মনে করেন, এরকম নাম রাখলে একটু খেত বা বয়স্ক মনে হয়। তাই তারা আনকমন নাম রাখতে গিয়ে টাল্টু,বল্টু, স্ক্রু ইত্যাদি নাম রাখেন।

এ বিষয়ে ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, নামের অর্থের প্রভাব ব্যক্তির ওপর পড়ে। আপনি যদি টাল্টু নাম রাখেন, তবে সে টল্টুর মতো লাফাতেই পারে। কাজেই সন্তানের সুন্দর অর্থবহ ইসলামি নাম রাখা পিতা-মাতার কর্তব্য। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow