এক সপ্তাহ বন্ধ লালমনিরহাট সড়ক, সচলের দাবিতে অবস্থান

লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের মহেন্দ্রনগর বিশ্ব গোডাউন সংলগ্ন অংশ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের জনগণ। সাতদিনেও জেলা প্রশাসন সড়কটি সচল করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে শহরের মিশন মোড় গোল চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে লালমনিরহাট-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, মহেন্দ্রনগর বিশ্ব গোডাউন সংলগ্ন সড়কে দুটি ট্রাক উল্টে পড়েছিল। আমরা ধারণা করেছিলাম, এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে এগুলো অপসারণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত সাতদিন ধরে আমরা অপেক্ষা করছি, অথচ এ ‘অথর্ব প্রশাসন’ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি সচল করতে পারেনি। একে অন্যকে দোষারোপ আর নানা অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। বিকল্প ব্যবস্থার অভাব ও জনভোগান্তির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মানুষের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। মহিপুর ব্রিজের ব্যারিয়ারটি যদি আগেই খুলে দে

এক সপ্তাহ বন্ধ লালমনিরহাট সড়ক, সচলের দাবিতে অবস্থান

লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কের মহেন্দ্রনগর বিশ্ব গোডাউন সংলগ্ন অংশ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের জনগণ। সাতদিনেও জেলা প্রশাসন সড়কটি সচল করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে শহরের মিশন মোড় গোল চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে লালমনিরহাট-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, মহেন্দ্রনগর বিশ্ব গোডাউন সংলগ্ন সড়কে দুটি ট্রাক উল্টে পড়েছিল। আমরা ধারণা করেছিলাম, এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে এগুলো অপসারণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত সাতদিন ধরে আমরা অপেক্ষা করছি, অথচ এ ‘অথর্ব প্রশাসন’ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি সচল করতে পারেনি। একে অন্যকে দোষারোপ আর নানা অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে।

বিকল্প ব্যবস্থার অভাব ও জনভোগান্তির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মানুষের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। মহিপুর ব্রিজের ব্যারিয়ারটি যদি আগেই খুলে দেওয়া হতো, তবে আশপাশের গ্রামীণ সড়কগুলো ধ্বংস হতো না। আজ কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগর বুড়ির বাজার ও কাজির চওড়ার রাস্তাগুলো ভারি যানবাহনের চাপে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানজটের কারণে মুমূর্ষু রোগীদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম মমিনুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মহসীন ইসলাম শাওন/আরএইচ

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow