একই প্লেনে নীতিশ-তেজস্বী, নতুন সরকার নিয়ে জল্পনা

3 months ago 47

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার (০৪ মে)। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের মতো এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। তবে জোট হিসাবে নির্বাচনী লড়াই উৎরে গেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।

৫৪৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ মোট ২৯২টি আসনে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। অন্যদিকে ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। এই দলের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৪টি আসন।

এবারের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভাবে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কংগ্রেসের। এই আবহেই নিজেদের ঘাঁটি আরও শক্ত করতে দিল্লিতে আলাদা আলাদা বৈঠকে বসছে এনডিএ এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকরা। এই বৈঠক নিয়ে ইতোমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বুধবার সকালে একই প্লেনে দেখা গেছে নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবকে। ফলে নানা রকম জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে এই ঘটনা। ঘটনাক্রমে একই বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। প্লেনে তাদের আসনও ছিল কাছাকাছি।

যদিও তারা আলাদা আলাদা দুটি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন। নীতীশ দিল্লি যাচ্ছেন এনডিএ শরিকদলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে। আর তেজস্বী বৈঠকে বসবেন ইন্ডিয়ার শরিকদের সঙ্গে। তবে বিহার থেকে একই প্লেনে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা দুজনেই।

লোকসভা আসনের সংখ্যার হিসাব বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে সরকার গড়বে এনডিএ জোট। এই আবহে যে মানুষটিকে নিয়ে আলোচনা এবং জল্পনা শুরু হয়েছে তিনি হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ।

রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, নীতিশ বার বার জোট বদলেছেন। জানুয়ারি মাসেই জোট ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেই আবহে একই বিমানে চড়ে লালু-পুত্র এবং নীতীশের দিল্লি যাত্রা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তীব্র হয়েছে।

এনডিএ জোটের অন্যতম দুইটি দল হলো চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি ও নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে সক্ষম তারা। ২০১৪ সালের পর প্রথম এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এবারই প্রথম জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে মোদীর বিজেপিকে। 

এদিকে বিহারে ৪০টি আসনের নীতীশের জেডিইউ এবং বিজেপি উভয় জোটসঙ্গীই ১২টি করে আসন পেয়েছে। আর আরজেডি পেয়েছে ৪টি আসন। রাজনৈতিক এই জল্পনার শেষ দেখতে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। এখনই স্পষ্ট করে এ নিয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

টিটিএন

Read Entire Article