একমাত্র গাড়ি নিয়ে ধুঁকছে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

3 hours ago 5

যানবাহন ও জনবল সংকটে ধুঁকে ধুঁকে চলছে খুলনা জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডেএনসি)। জেলা কার্যালয়ে রয়েছে মাত্র একটি গাড়ি। ফলে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে চলছে অফিস এবং অধীনস্ত দুটি সার্কেলের অভিযান। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ৩৬টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সাত পদ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলা ও নগর নিয়ে এ অধিদপ্তরের কার্যক্রম। একটি গাড়ি থাকায় এক সার্কেল অভিযানে বের হলে অন্য সার্কেল ও অফিস প্রধানকে যাতায়াতে ভিন্ন পন্থা বেছে নিতে হয়। গাড়ির অভাবে অনেক সময় অভিযানে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। ভাড়া গাড়িতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, খুলনায় মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু জনবল ও যানবাহন সংকটে অভিযান চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। একজন চালক থাকায় তিনি অসুস্থ হলে একমাত্র গাড়িটির চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, অনেক দফতরে গাড়ি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখতেও দেখা যায়। কিন্তু ডিএনসির মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। বিগত দিনে ডিএনসি খুলনায় মাদকের গডফাদারদের ধরতে সক্ষম হয়েছে। সংকট কাটলে দপ্তরে ফের গতি ফিরবে।

একমাত্র গাড়ি নিয়ে ধুঁকছে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

জেলা ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুর রহমান বলেন, মাদক সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া মাত্র আমরা অভিযান চালাই। কিন্তু অনেক সময় গাড়ি সংকটে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গাড়ি বা ইজিবাইক ভাড়া করে যেতে হয়। ভাড়া গাড়ি নিয়ে দূরের পথ যেতেও সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পথে বেশি সময় লেগে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এছাড়া আসামি আটক করার পর দূরের পথ হলে নিয়ে আসতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়।

জেলা ‘খ’ সার্কেলের পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ক’ সার্কেল গাড়ি নিয়ে অভিযানে বের হলে ‘খ’ সার্কেলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে যেতে হয় ইজিবাইক ভাড়া করে। ভাড়া গাড়িতে যাওয়ায় ঝুঁকি থাকে। সাধারণ মানুষ সরকারি লোক বুঝতে না পেরে হেনস্তাও করে।

অধিদপ্তরটির খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, জনবল সংকট থাকলেও চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যানবাহন সংকটে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। মাদক চোরাকারবারির খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান না চালালে পরবর্তীতে তাদের ধরা যায় না।

একই সময় ‘ক’ ও ‘খ’ সার্কেল তথ্য পেলে জটিলতা বাধে। এসব সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।

এফএ/এএসএম

Read Entire Article