একযুগেও অনিশ্চয়তা কাটেনি জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্পের
উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ১৬৫ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ। স্বপ্নের এই ডাবল রেললাইন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করে ২০১৩ সালের জুন মাসে। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সরকারের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে চীন সরকারের অর্থায়নে ১৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ব্যয়ে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চ মাসে চীন অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালে এ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। পরে এ ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য চলতি বছরের ২৭ জুন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। চুক্তির আওতায় জাপানি ওডিএ সহায়তায় প্রায় ৭ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাইকা। এরই মধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যালোচনা করেছে জাইকা। তাদের পরামর্শে এখন রেললাইন, কালভার্ট, ব্রিজ ও স্টেশন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। কিন্তু কবে নাগাদ জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং কাজ কবে শুরু হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। সরেজমিনে ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়,
উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ১৬৫ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ। স্বপ্নের এই ডাবল রেললাইন নির্মাণের মহাপরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করে ২০১৩ সালের জুন মাসে। কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সরকারের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে চীন সরকারের অর্থায়নে ১৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ব্যয়ে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চ মাসে চীন অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালে এ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। পরে এ ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য চলতি বছরের ২৭ জুন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। চুক্তির আওতায় জাপানি ওডিএ সহায়তায় প্রায় ৭ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাইকা।
এরই মধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যালোচনা করেছে জাইকা। তাদের পরামর্শে এখন রেললাইন, কালভার্ট, ব্রিজ ও স্টেশন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। কিন্তু কবে নাগাদ জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং কাজ কবে শুরু হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি।
সরেজমিনে ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে জেআইডিএলপি প্রজেক্টের অধীনে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট (ডিডিসি) নামে একটি প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন ভবনের পাশে মাটি পরীক্ষার কাজ করছে। নতুন স্টেশন ভবন ও ডাবল রেলপথ নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে কর্মীরা জানান।
ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে মাটি পরীক্ষা কাজে দায়িত্বরত ডিডিসির সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল বাবু জাগো নিউজকে বলেন, ১৪ অক্টোবর থেকে ঈশ্বরদী রেললাইনের বিভিন্ন পয়েন্টে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। এক সপ্তাহ ধরে বাইপাস স্টেশন ভবনের পাশে নতুন ভবন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ করছি।
আরও পড়ুন-
আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হলেই আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালু করবে ভারত
রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে লাল কাপড় বেঁধে দিলো দুর্বৃত্তরা
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়নে সম্ভাব্যতা যাচাই করছে এডিবি
ডিডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান হিমু জাগো নিউজকে মুঠোফোনে জানান, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ১২টি টিম মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে। ডাবল রেললাইন, কালভার্ট, ব্রিজ ও স্টেশন ভবন নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে এই মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র মাটি পরীক্ষার কাজ করছি। ডাবল গেজ রেললাইন বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু জানা নেই।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (আইডাব্লিও) আতিকুর রহমান জানান, ঈশ্বরদীর রেলপথের বিভিন্ন পয়েন্টে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল গেজ রেললাইন স্থাপন কাজ শুরুর আগেই মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া। তবে কবে নাগাদ রেল লাইনের কাজ শুরু হতে পারে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী (ডিএন-টু) নাজিব কায়সার জাগো নিউজকে জানান, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল গেজ রেললাইন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। জাপানের পরামর্শ অনুযায়ী রেললাইন, স্টেশন, কালভার্ট-ব্রিজ নির্মাণের স্থানগুলোর মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে।
জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফরাজীর কাছে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানা যায়, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৫ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপানি পরামর্শকরা। যা প্রাক্কলিত বাজেটের চেয়ে ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ৮২ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে চীনের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। পরে চীন অর্থায়ন থেকে সরে গেলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এফএ/এমএস
What's Your Reaction?