একাই ৪৫০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের মাইলোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫০ শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা একাই নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, অফিস কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো সহকারী শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের সামনে অনেক অভিভাবক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অভিভাবকরা জানায়, সকালে কয়েকজন শিক্ষিকা আসছিল। তবে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা শুরু করলে তারা স্কুল থেকে চলে যায়।  এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী কালবেলাকে বলেন, সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা চাই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের ডিপিও, এডিপিও এবং এটিও স্যারেরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার জবাবদিহিতার জায়গা থেকে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয় সেই দিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমি প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমার অফিস সহায়কের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাঁচটি শ্রেণির মোট ৫১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫০ জন পর

একাই ৪৫০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের মাইলোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫০ শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা একাই নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, অফিস কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো সহকারী শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের সামনে অনেক অভিভাবক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অভিভাবকরা জানায়, সকালে কয়েকজন শিক্ষিকা আসছিল। তবে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা শুরু করলে তারা স্কুল থেকে চলে যায়। 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী কালবেলাকে বলেন, সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা চাই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের ডিপিও, এডিপিও এবং এটিও স্যারেরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার জবাবদিহিতার জায়গা থেকে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয় সেই দিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমি প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমার অফিস সহায়কের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাঁচটি শ্রেণির মোট ৫১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবার দায়িত্ব একাই পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উপস্থিত অভিভাবকরা বলেন, শুধু একজন শিক্ষক দিয়ে পাঁচটি ক্লাসের পরীক্ষা নেওয়ায় খুবই কষ্টকর। এতে পরীক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎও ঝুঁকিতে পড়ছে। 

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow