‘একাদশ তৈরিতে অদুরদর্শী সিদ্ধান্ত’ই ভুগিয়েছে’

3 months ago 69

ক্রিকেটাররা খারাপ খেলেছেন। ভাল খেলার দুর্নিবার আকাঙ্খাটাই যেন কম ছিল। জেতার যে দৃঢ় সংকল্প থাকার কথা, সেটাই কম ছিল। যাদের ওপর দল বেশি নির্ভর করেছে- অধিনায়ক লিটন দাস, মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক আর শামীম পাটোয়ারিরা তার কিছু দিতে পারেননি। এর বাইরে ছিল দুই এক্সপ্রেস বোলার শরিফুল ও তানজিম সাকিবের আলগা বোলিং। সে কারণেই ২০৫ রান করেও শেষ রক্ষা হয়নি টাইগারদের।

এর বাইরে লক্ষ্য-পরিকল্পনা আর দল সাজানোয়ও চোখে পড়েছে বড় ধরনের ত্রুটি। দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ও সিনিয়র কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন একাদশ সাজানোয় আরও একটু দুরদর্শি হওয়া উচিৎ ছিল।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের মনে হয়েছে, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের একটি অদুরদর্শী সিদ্ধান্ত আরব আমিরাতকে সিরিজ জিততে সহায়তা করেছে।

সুজনের ব্যাখ্যা, ‘আমি প্ল্যানিং নিয়ে কিছু বলবো না। নিশ্চয়ই স্পেশিফিক প্ল্যানিং ছিল। সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আসলে প্ল্যানিংটা যখন বাস্তবায়িত হয়, তখনই তার স্বার্থকতা। বোঝাই যায় প্ল্যানিংয়ের যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটেনি। বাট আমার মনে হয়, আমরা আরব আমিরাতকে নিয়ে তেমন হোম ওয়ার্ক করিনি। দলটির প্রধান দুই ব্যাটিং স্তম্ভ হলেন, অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম আর মিডল অর্ডারে আসিফ খান।’

‘পুরো সিরিজে তাদের চওড়া ব্যাটে ভর করেই জয় পেয়েছে আমিরাত। যেহেতু তারা দু’জনই ডানহাতি, তাই তাদের বিপক্ষে একজন বাঁ-হাতি বোলার খেলানো উচিৎ ছিল। মনে রাখা প্রয়োজন ছিল, আরব আমিরাতের টপ অর্ডারে অধিনায়ক ওয়াসিমই বড় খুঁটি। এ দুই ডানহাতি টপ অর্ডার অনেকদিন ধরে খেলছেন। তাদর অভিজ্ঞতা আছে। উইকেটে সেট হলে তারা বড় শট খেলতে পারেন। বিগ হিট নিতে পারেন। তাদের আটকাতে, তাদের স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল ব্যাটিং প্রতিহত করতে অন্তত একজন বাড়তি অ্যাওয়ে স্পিনার রাখা যেত।’

‘আমার মনে হয় তানভিরকে খেলানো উচিৎ ছিল। তানভিরের মত একজন বাঁ-হাতি স্পিনার মিসিং ছিল। তাহলে বেটার হতে পারতো। মানছি, তানভির প্রথম ম্যাচে ভাল করেনি; কিন্তু তার নিজের পারফরমেন্স যেমনই থাকুক না কেন, আমার মনে হয় গেম প্ল্যানে একজন বাঁ-হাতি স্পিনার রাখা যেত। তাতে করে ওয়াসিম আর আসিফ অবলীলায় ব্যাটিং করতে পারতেন না।’

বলে রাখা ভাল সিরিজে তিন ম্যাচের মধ্যে আরব আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসিম দু’বার আউট হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার শরিফুলের বলে।

এআরবি/আইএইচএস

Read Entire Article