একুশে পদক গ্রহণে যাননি বাটলার

1 day ago 6

অনূর্ধ্ব-১৪ এশিয়া আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা ছিল দেশের নারী ফুটবলের টার্নিং পয়েন্ট। ২০১৪ সালের ওই সাফলের পর থেকে অনেক ‘প্রথমে’র জন্ম দিয়েছেন নারী ফুটবলাররা। নারী ফুটবলে আরও একটি প্রথম যুক্ত হলো—একুশে পদক পাওয়া প্রথম ক্রীড়া দল ২০২৪ সালের সাফ জয়ীরা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাফজয়ী দলকে এ পদক প্রদান করেন। দলের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবং সহঅধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। পুরস্কার প্রদানের সময় নারী দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০০১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এ পুরস্কার পেয়েছিল। দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল একাধিকবার আবেদন করেছিল; কিন্তু সেটা পাওয়া হয়নি ফুটবলের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা দলটির। নিকট অতীতে বয়সভিত্তিক ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়া এবং এশিয়া অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে নারী দল। সে ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। গত বছর সে সাফল্য ধরে রাখে নারী দল। যার স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পেল দলটি।

পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে ১১ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন ১১ জনকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য মনোনীত করা হবে—এ নিয়ে তৈরি হয়েছিল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অনুরোধে শেষ পর্যন্ত দলের ৩২ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়; কিন্তু অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৮ জন। প্রধান কোচ পিটার বাটলার, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু, গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল এবং ভিডিও বিশ্লেষক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী পুরস্কার গ্রহণের সময় ছিলেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাফুফে কর্মকর্তারা অনুরোধ করার পরও পিটার বাটলার অনুষ্ঠানে যাননি। কী কারণে কোচ অনুষ্ঠানে যাননি, সেটা অবশ্য জানাতে পারেনি বাফুফে। মাহবুবুর রহমান লিটু অসুস্থতার কারণে যাননি। পারিবারিক সমস্যার কারণে যেতে পারেননি মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল। মেহেদী হাসান সিদ্দিকী পুরুষ জাতীয় দলের ভিডিও বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলেন বলে পুরস্কার গ্রহণের জন্য যেতে পারেননি তিনি।

Read Entire Article