এখনও গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, সেখানে অবরোধ চলছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র বোমাবর্ষণ করছে। উত্তর গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি সৈন্যরা। খবর আল জাজিরার।
স্টিফেন ডুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উত্তর গাজার অবরুদ্ধ বেইত লাহিয়া, বেইত হ্যানুন এবং জাবালিয়ার কিছু এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে প্রত্যাখ্যান হয়েছে জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন বেশিরভাগ সহায়তা মিশন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ৪০ বার সেখানে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বার বারই তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের ‘প্রয়োজনীয় চাহিদা’ মেটাতে এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে সহায়তার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন ডুজারিক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় আরও ৩১ জন নিহত ও আরও ৭৯ জন আহত হয়েছেন। এতে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫০ ছাড়ালো। তাছাড়া মোট আহতের সংখ্যা লক্ষাধিক।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া মোট আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৭ হাজার ৪১ জন ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
- আরও পড়ুন:
- গাজায় শীতের মধ্যে আশ্রয়হীন প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে
- শিগগির আকাশসীমা চালু করবে সিরিয়া
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টিটিএন