তিনি প্রায় একযুগ জাতীয় দলের নির্বাচক ছিলেন। প্রধান নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন ৭-৮ বছর। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কার কি অবস্থা তা খুব ভাল জানা মিনহাজুল অবেদিন নান্নুর। এদেশের ক্রিকেটের কাঠামো কেমন, বর্তমান অবস্থায় থেকে আগামীতে কতটা উন্নতি করা সম্ভব? উন্নতি করলেও কতটা সামনে আগানো যাবে, তাও খুব ভাল জানেন নান্নু।
অনেকদিন ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাড়ানোর কথা উঠছে। শেষ পর্যন্ত বিপিএলের বাইরে আরও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ডিসেম্বরে হবে এই টুর্নামেন্ট।
এর পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত বিসিবির চিফ কো অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রামের দায়িত্ব নেওয়া মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, এখনকার অবস্থায় হুট করে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব না।
তার অনুভব, দেশের ক্রিকেট অবকাঠামোয় পরিবর্তন আনা জরুরি। বর্তমানে দেশের ক্রিকেটের যে অবস্থা, তাতে বিশ্বকাপ জেতা খুব কঠিন। তাই মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর উপলব্ধি, ‘এখন আমাদের যে অবস্থা আছে, এর মধ্যে হুট করে বিশ্বকাপ জেতা কঠিন।’
নান্নু মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট পুরো রাজধানী কেন্দ্রিক। ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হলে আঞ্চলিক অধিদপ্তর করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট তো পুরোপুরি ঢাকাকেন্দ্রিক। এখনও তো ডিসেন্ট্রালাইজড হয়নি। আমাদের চারটা রিজওনাল বোর্ড আছে। রিজওনাল বোর্ডগুলো কাজ শুরু করেছে। আশা করছি চারটা যদি অন্তত শুরু হয়ে যায়। তাহলে চার জায়গায় ক্রিকেট সেন্টার করে খেলোয়াড়দের উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে, খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। আমাদের যে সীমিতসংখ্যক খেলোয়াড় আছে এখন, তাদের নিয়ে আগাতে হবে।’
নান্নু যোগ করেন, ‘হাই পারফরম্যান্স ইউনিট থাকতো তাহলে আপনি ৮০টা খেলোয়াড়কে নার্চার করতে পারতেন। তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের জন্য খেলোয়াড়দের তৈরি করা যেতো।’
‘এখানের আপডেট হচ্ছে হাই পারফরম্যান্সের অনুশীলন চলছে, সঙ্গে সঙ্গে টাইগার্সের প্রোগ্রাম চলছে। এটার সঙ্গে কিছু কাজ করছি এনসিএল নিয়ে। এনসিএলের টি-টোয়েন্টিটা হবে ডিসেম্বরের ৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত হবে। এগুলো নিয়ে কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ মৌসুমটা ভালো মতো শুরু করতে পারলে প্রোগ্রামগুলো ধাপে ধাপে শুরু হবে। ’
এআরবি/আইএইচএস