‘এটি লজ্জার, আমি শুধু নীরব দর্শক’

3 months ago 53

দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড কোটা পদ্ধতি মেনে গঠন করা হয়, এটি প্রায় সবারই জানা। কয়েকটি জাতিগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশটির স্কোয়াডে যেন সবার প্রতিনিধিত্ব থাকে সেজন্যই এই নিয়ম করেছে সরকার। বিশেষ করে জাতীয় দলে কৃষ্ণাঙ্গদের সুযোগ করে দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট।

কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সে নিয়মের হেরফের হয়ে গেছে। অর্থাৎ কোটা পদ্ধতিতে যে নিয়ম ছিল, সেটি পুরোপুরি কার্যকর করা হয়নি। এতে দেশটির ক্রিকেটপাড়ায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

২০১৬ সালে সরকার ঘোষিত কোটা পদ্ধতির নিয়মে বলা হয়েছে, একাদশে সর্বোচ্চ ৫ জন শ্রেতাঙ্গ ক্রিকেটার খেলতে পারবেন। বাকি ৬ জন হবে কৃষ্ণাঙ্গসহ অন্যান্য জাতীগোষ্ঠীর। আবার এই ৬ জনের মধ্যে কমপক্ষে দুইজন থাকতে হবে আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের।

কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার দলের রাখার নীতি ভঙ্গের কারণেই মূলত চলছে এত আলোচনা। নিয়ম অনুযায়ী, স্কোয়াডে ২ জন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার থাকার কথা থাকলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে কেবল একজনকে। তিনি হলেন কাগিসো রাবাদা।

দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, এমন অন্য কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হলেন লুঙ্গি এনগিদি। তবে তাকে রাখা হয়েছে রিজার্ভ হিসেবে। কিন্তু নিয়মে বলা আছে, রাখতে হবে মূল স্কোয়াডে। যাতে কোনোরূপ শর্ত ছাড়াই খেলানো যায়।

নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে এনগিদিকে কেন মূল স্কোয়াডে রাখা হয়নি, এটি নিয়েই এখন সরব দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সও।

ভিলিয়ার্স বলেন, ‘একটি টুর্নামেন্টে যাওয়াটা আগে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হওয়াটা লজ্জার ব্যাপার। আমি বলতে চাচ্ছি, এটা নতুন কিছু নয়। এটা শুধুই লজ্জাজনক। ভাগ্যক্রমে এবার সেখানে আমার কিছু করার ছিল না। আমি একজন দর্শক মাত্র। বিশ্বকাপের ঠিক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এসব বিতর্ক তৈরি হয়।’

এনগিদির বিষয়ে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা একটা ভালো দল। এটা লুঙ্গির (এনগিদি) জন্য লজ্জার... সে কিছুটা ফর্ম হারিয়েছে, বেশ কয়েকটা ইনজুুরি রয়েছে তার। অন্যথায়, সে সম্ভবত স্কোয়াডে থাকতো এবং তাতে দেশে কোনো বিতর্কিত জিনিস থাকতো না।’

রাবাদা ছাড়া অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর আরও যে ৫ ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তারা হলেন- রিজা হেনরিক্স, বজরন ফরটুইন, কেশভ মহারাজ, তেবরিয়াজ শামসি ও ওটিনিয়েল বার্টম্যান।

এমএইচ/এএসএম

Read Entire Article