এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে রেকর্ড

2 months ago 8
এবার এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।সরকারের বিশেষ উদ্যোগের ফলে এমনটি সম্ভব হয়েছে। লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের মাধ্যমে যাতে উপযুক্ত মূল্য পায় সেজন্য সরকার এই প্রথম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করে। সরকারের এ বিশেষ  উদ্যোগের ফলে এ বছর ৯৩৩০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩.০৮ লাখ চামড়া সংরক্ষণ করেছে। গত বছর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোতে সংরক্ষণ করা হয়েছিল ২.০৯ লাখ চামড়া। ঈদুল আজহায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়া লবণ দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) পূর্ব থেকে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী লবণের মজুত নিশ্চিতকরণ, সঠিকভাবে চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতির বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, দৈনিক পত্রিকা, টিভি চ্যানেলে প্রচারণাসহ অসংখ্য লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে এ কাজে উৎসাহ ও সচেতন করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত বুধবারের (১১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।  এ ছাড়া সারা দেশব্যাপী আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকরা স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুত ছিল, কোথাও কোনো ঘাটতি ছিল না। তার সত্ত্বেও দেশের কয়েকটি স্থানে কিছু বিছিন্ন ঘটনার খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কর্তৃক চামড়ার লবণ না দিয়ে আড়তদাতদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দরকষাকষি ও আড়তদারগণ কর্তৃক চামড়া ক্রয় অনিহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  আরও বলা হয়, এ বছর সাভার ট্যানারি নগরস্থ সিইটিপিতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল মজুত, ইঞ্জিনের ওভারহলিং ও পুকুর খননসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। কোরবানিকৃত পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ট্যানারির বাইরে নিয়ে বিক্রি করার অনুমতিও দেওয়া হয়। লক্ষ্য করা গেছে, অল্প কিছু মাথা লেজ ইত্যাদি নদীর পাড়ে ফেলেছে শিল্পনগরী ও সিইপিটির অজ্ঞাতসারে। আর যাতে কেউ এগুলো কোথাও ফেলতে না পারে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
Read Entire Article