এনবিআর সংস্কার পরিষদের সভাপতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

2 months ago 4

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রাজস্ব বোর্ডের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তাদের বেশিরভাগই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য। এনবিআর চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে গত ১ সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সদস্য (আয়কর নীতি), ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, অতিরিক্ত কমিশনার ও সংগঠনের সভাপতি হাছান তারেক রিকাবদার, যুগ্ম কর কমিশনার, মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, উপ কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।

দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কতিপয় অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন মর্মে জানা যায়।

দুদক আরও জানায়, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-
নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা। অনুরূপভাবে, বিগত ২০-২৫ বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এসএম/জেএইচ/এমএস

Read Entire Article