জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) একত্রিত হওয়ার আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হানিফ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এনসিপি নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা গণঅধিকার পরিষদের কাছাকাছি। তাই দুই দল একত্রিত হওয়ার আলোচনা চলছে।
হানিফ ফেসবুকে লেখেন, ‘রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার কারণে আমরা মনে করি, তরুণদের দু’দল একত্রিত হলে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির দ্বার উন্মোচিত হবে। তাই দু’দলের ঐক্যের বিষয়ে আমরা আন্তরিক। তার মানে এই নয় যে নিজেদের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আরেক দলে যোগ দেবো।’
গণঅধিকারের এ নেতা জানান, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্তাল সময়ে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে গড়ে ওঠা দল গণঅধিকার পরিষদ। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নেতৃত্বে ২০২১ সালে দলটি গঠিত হয়। দল গঠনের পূর্বে এ তরুণদের নেতৃত্বে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ দেশের মানুষের পক্ষে রাজপথে কথা বলেছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছে। পরবর্তী সময়ে এ তরুণদের বড় একটি অংশ ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবার ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সামনের সারির অনেকের রাজনীতির হাতেখড়ি এ অধিকার পরিষদে।
আরও পড়ুন
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুরুল হক নুর
ড. ইউনূসের সফরে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন রাশেদের
বর্তমানে গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল এবং সারা দেশে এর অসংখ্য নেতাকর্মী রয়েছে জানিয়ে হানিফ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে দলটির নেতাকর্মীদের নামে কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ নেই। বরং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে তরুণদের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি এ মুহূর্তে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী দল। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কোনো দলে যোগ দেবেন না।
হানিফের মতে, এনসিপির অধিকাংশ নেতা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক নেতা এবং তারা গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের শিষ্য। ফলে তাদের ঐক্য হলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সামগ্রিক বিবেচনায় নুরের নেতৃত্বেই তা হওয়া উচিত।
এনএস/একিউএফ/জিকেএস