এবার অভিবাসী ফেরত না নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুমকি

3 weeks ago 19

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের ফেরত নিতে অনাগ্রহী দেশগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, যদি এসব দেশ তাদের অভিবাসীদের ফিরিয়ে না নেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করে দেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ শুল্ক আরোপ করবে।

ট্রাম্পের এই হুমকি তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এখন সামনে এসেছে। 

তিনি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিতে চাই এবং সেই সব দেশকে তাদের ফেরত নিতে হবে। যদি তারা এটি করতে না চায়, তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেব।

টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হওয়ার পর ম্যাগাজিনটির এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, যে দেশগুলো অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করবে, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কঠিন করে তুলব। আমি তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ শুল্ক চাপিয়ে দেব এবং এই দেশগুলোকে ‘অত্যন্ত কঠিন’ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবো। 

তিনি আরও বলেন, আমি যে কোনো উপায়ে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাব, তবে সবকিছু আইনের মধ্যে থাকবে। যদি নতুন ক্যাম্পও তৈরি করতে হয়, তাও করতে পারি। তবে আমি আশা করি, আমাদের খুব বেশি ক্যাম্প তৈরি করতে হবে না কারণ আমি চাই অভিবাসীদের দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের মধ্যে অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের একত্রে ফেরত পাঠানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, আমি অভিবাসীদের পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, বিশেষ করে বাবা-মা এবং সন্তানদেরও।

ট্রাম্প বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করা বা কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত মানুষদের গ্রহণ করা হবে না। আমরা চাই না, কারাগারের বন্দিরা আমাদের দেশে আসুক। শুধু দক্ষিণ আমেরিকার নয়, কোনো দেশের বন্দিদের আমরা গ্রহণ করতে চাই না, বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ছাড়া, ট্রাম্প মার্কিন সেনাবাহিনী, বিশেষত জাতীয় গার্ড ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প বলেন, এ কাজে আমরা ন্যাশনাল গার্ডকে ব্যবহার করবো এবং যতদূর সম্ভব দেশের আইন অনুসরণ করে এই কাজ সম্পন্ন করব।

উল্লেখ্য, সবকিছু ঠিক থাকলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। তার অভিবাসী নীতি, যা তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি বড় অংশ, সেই সময় থেকেই কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Read Entire Article