এবার আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান, সমালোচনার ঝড়

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন। রোববার কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হাসান মুন্সির বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ যোগদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ১৫ বছর যেসব আওয়ামী ক্যাডারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে, বিএনপিতে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বিএনপিতে যোগদানকারীরা হলেন—উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আলম হাজারী, বড়শালঘর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিয়া রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা টিটু মইশান, নাজমুল, আতাউর রহমান সয়ন ও তার বাবা বজলু আমিন, জানু মিয়া, ইদ্রিস খান, ফরিদ হাজারী, মোহাম্মদ শাহিন (বড়শালঘর), শাহ আলীসহ ২০০ নেতাকর্মী। তাদের যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সিসহ উপজেলা বিএনপির নেতারা। আওয়ামী পুনর্বাসনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান জামায়াতে ইসলামী, জাতীয়

এবার আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান, সমালোচনার ঝড়

কুমিল্লার দেবিদ্বারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন। রোববার কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হাসান মুন্সির বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ যোগদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ১৫ বছর যেসব আওয়ামী ক্যাডারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে, বিএনপিতে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

বিএনপিতে যোগদানকারীরা হলেন—উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আলম হাজারী, বড়শালঘর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিয়া রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা টিটু মইশান, নাজমুল, আতাউর রহমান সয়ন ও তার বাবা বজলু আমিন, জানু মিয়া, ইদ্রিস খান, ফরিদ হাজারী, মোহাম্মদ শাহিন (বড়শালঘর), শাহ আলীসহ ২০০ নেতাকর্মী। তাদের যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সিসহ উপজেলা বিএনপির নেতারা।

আওয়ামী পুনর্বাসনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এমনকি খোদ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেননি। তারা সমালোচনার পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ করছেন।

যোগদানকে নগ্ন পুনর্বাসন আখ্যা দিয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ক্ষমতার জন্য আজ আওয়ামী লীগের লোকজনকে বিএনপিতে আনা হচ্ছে। গত ১৭ বছর ধরে যারা নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা-মামলা করেছে, তাদের আবার দলে নেওয়া তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের অপমান করার শামিল।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এএফএম তারেক মুন্সি বলেন, ‘রাজনীতি করেছে, কিন্তু পদে ছিল না—এরকম হলে সেটা ঠিক আছে। তারা বিএনপিতে যোগ দিতেই পারে। কিন্তু একটা ফ্যাসিবাদী দলের দায়িত্বে ছিল, পদে ছিল—সে তো বিএনপিতে যোগ দিতে পারে না। এটা বিএনপির জন্য লজ্জাজনক। আমি ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছি। বিষয়টি আমি হাইকমান্ডকে জানাব।’

জামায়াতের এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আজ যেসব আওয়ামী ক্যাডার বিএনপিতে যোগদান করেছে, তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় সাধারণ মানুষকে পুলিশি হয়রানিসহ নানা অন্যায় অত্যাচার করেছে। তাদের মধ্যে কিছু আছে ব্যবসায়ী, যারা তাদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে করতেই বিএনপিতে যোগদান করেছে।’

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যোগদানের সুযোগ দেওয়ার কারণ জানতে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুরুল হাসান মুন্সির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow