৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন, জাতীয় সংসদসহ সকল প্রতিনিধিত্বমূলক পর্যায়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নিশ্চিত করা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবার ‘আমরণ গণঅনশন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রমনা কালী মন্দিরে সকাল ১০টা থেকে এই গণঅনশন শুরু করেন তারা। কর্মসূচিতে সংগঠনের মুখপাত্র সুস্মিতা কর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সুব্রত বল্লবসহ অন্যরা উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া দুপুর ১টা থেকে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়েও আমরণ অনশনে বসেছেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে সুস্মিতা কর কালবেলাকে বলেন, আজ ঢাকা এবং চট্টগ্রামে এই ‘আমরণ গণঅনশন’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অন্য বিভাগীয় শহরেও এই কর্মসূচি শুরু হবে। দেশের সকল সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ এবং ৮ দফার পক্ষে যারা সহমত প্রকাশ করেন, তারা যেন এই গণঅনশনে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেন, সেই আহ্বান জানাই। একইসাথে আমরা জোরালভাবে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রমনা কালী মন্দিরে ১২ ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পালন করে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তার আগের দিন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি এবং অনশন কর্মসূচির বিষয়টি জানিয়ে সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রয়োগের দাবি জানায় সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়েছিল, ৮ দফা বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এ দেশে নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারবে না। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবিগুলো নিয়ে সরকার আলোচনা শুরু না করলে তারা অনশন, আমরণ গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।