এবার কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

লাগাতার কর্মবিরতি, বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের পর তিন দফা দাবি আদায়ে এবার কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। একই সঙ্গে শিক্ষকরা উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) অফিসের সামনে অবস্থান নেবেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ‌প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, সারাদেশে আমাদের শিক্ষকরা কর্মবিরতি করছেন। দাবি আদায়ে কর্মসূচি করতে গিয়ে অনেকে হেনস্থার শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন। এজন্য আমরা বিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছি। রাত ৭টায় ভার্চ্যুয়ালি সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সহকারী শিক্ষক। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। তবে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন

এবার কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

লাগাতার কর্মবিরতি, বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের পর তিন দফা দাবি আদায়ে এবার কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। একই সঙ্গে শিক্ষকরা উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) অফিসের সামনে অবস্থান নেবেন।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ‌প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, সারাদেশে আমাদের শিক্ষকরা কর্মবিরতি করছেন। দাবি আদায়ে কর্মসূচি করতে গিয়ে অনেকে হেনস্থার শিকার হয়েছেন এবং হচ্ছেন। এজন্য আমরা বিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছি। রাত ৭টায় ভার্চ্যুয়ালি সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সহকারী শিক্ষক।

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। তবে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তারা এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।

গত ৮-১১‌ নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষক ‍আহত হন। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে শিক্ষকরা ক্লাসে ফেরেন। তবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না থাকায় ২৭ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।

সহকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো—দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দশম গ্রেড দিতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়ে আপাতত ১১তম গ্রেডের সুপারিশ করেছে। শিক্ষকরাও আপাতত সেই প্রতিশ্রুতি (১১তম গ্রেড দেওয়ার) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।

এএএইচ/এমএমকে/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow