ডেনমার্কের অধীনস্থ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ডেনমার্কজুড়ে। বিশেষত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পৃথিবীর সেরা এই স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটি দখলের হুমকি দিয়েছে। এরপর থেকেই মূলত এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ডেনমার্কজুড়ে।
এর আগে বুধবার (০৮ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি দ্বীপটি দখল করার ঘোষণা থেকে এক চুলও সরে আসিনি। প্রয়োজনে মিলিটারি ফোর্স পাঠিয়ে দ্বীপটি দখল করা হবে।
এদিকে, চরম এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ডেনমার্কের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেড্রিকসেন। ধারণা করা হচ্ছে এই বৈঠকেই তিনি দ্বীপটি রক্ষায় সব দলের সহায়তা চাইবেন এবং করণীয় নির্ধারণে পরামর্শ চাইবেন। এ ছাড়া একই ইস্যুতে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কমনওয়েলথ নেতাদের সঙ্গেও একটি পৃথক বৈঠক রয়েছে।
বুধবার আকস্মিকভাবেই গ্রীনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে বুরুপ এগেদে ডেনমার্কের রাজার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এ্যালান লেভেনথালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার এই সাক্ষাতের বিষয়টা নিয়েও বিভিন্ন মহলে চলছে নানা গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠছে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছে আয়তনে ডেনমার্কের তুলনায় কয়েকগুণ বড় এই দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে।
অনেকে এমন প্রশ্নও করছেন যে, তা হলে কি গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও কোন স্নায়ুযুদ্ধের দিকেই এগুচ্ছে ডেনমার্ক যেমনটি চলছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের।