এবার চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলো ভারতীয় কংগ্রেস

1 month ago 12

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগছে দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন কংগ্রেসের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি বিভাগের চেয়ারম্যান পবন খেরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে কংগ্রেস। এই নিরাপত্তাহীনতার সর্বশেষ উদাহরণ হলো- ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার। এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে বলে আশা করছে কংগ্রেস।

এর আগে, মঙ্গলবার চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় আহত হন আরও ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য।

সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেন। পরে সড়কপথে আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সাবেক এই সংগঠককে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে মহানগর-ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশ মোতাবেক চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় আগে থেকে আদালত এলাকায় জড়ো হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি মিলে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এসময় ইসকনপন্থি বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীরা আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করেন। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা।

এদিকে, হিন্দু নেতার গ্রেফতার ও তার জামিন নামঞ্জুর নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ভারতের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

সূত্র: এনডিটিভি, পিটিআই

এসএএইচ

Read Entire Article