প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অংশগ্রহণমূলক জাকসু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’। এর আগে, একই দাবিতে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহুল আকাঙ্ক্ষিত জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনপূর্ব ন্যূনতম সংস্কারের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে যে সামান্য মতভেদ রয়েছে, তাকে পুঁজি করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার একটা পাঁয়তারা চলছে। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার এই হীন ষড়যন্ত্রের পেছনে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাত আছে বলে অনেকেই অনুমান করছেন। আমরা এই অনুমানকে অযৌক্তিক বলে মনে করি না।
প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণ দাবি করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম বলেছে, একটি সুষ্ঠু জাকসু নির্বাচন এবং সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের দোসরদেরকে চিহ্নিত করে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় পতিত ফ্যাসিস্টের দোসররা ক্যাম্পাসে বিরাজমান শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বিঘ্নিত করবে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রিয়াশীল সব সংগঠনকেই তাদের ভিন্নমত প্রদানের সমান সুযোগ দিতে হবে। সবার মতকে শ্রদ্ধায় রেখে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা প্রশাসনকে করতে হবে। এই ঐক্যমতের ভিত্তিতেই দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে একটি অংশগ্রহণমূলক, অর্থবহ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাকসু ও হল সংসদ গঠন করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাস সংস্কারের অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচনের রোডম্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা থাকলেও ছাত্রদলের সংস্কারের দাবি এবং অবস্থান কর্মসূচিতে তফসিল ঘোষণায় ব্যর্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তফসিল ঘোষণার জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সৈকত ইসলাম/এসআর/এএসএম