জাল ভোট ও ভোটারের অতিরিক্ত ব্যালট কেন্দ্রে পাঠানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংশপ্তক পর্ষদ প্যানেলের প্রার্থীরা
ভিপি প্রার্থী ছাড়াই ঘোষণা করা হয় ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নামে গঠিত প্যানেল। জিএসসহ পাঁচটি পদে প্রার্থী দিয়েছিল প্যানেলটি। এতে জিএস পদে রয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (একাংশ) জাহিদুল ইসলাম ইমন।
প্যানেলের বাকি সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া জন্নাতুল ফেরদৌস, তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে সৈয়দ তানজিম আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে তানজিল আহমেদ এবং সহ-সমাজসেবা ও মানব উন্নয়ন সম্পাদক (নারী) পদে সাদিয়া ইমরোজ ইলা।
- আরও পড়ুন
- অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জন করলো ছাত্রদল
- হট্টগোলে বন্ধ-বিদ্যুৎবিভ্রাট-ছাত্রদলের বর্জনে উত্তপ্ত জাকসু ভোট
এদিকে, জাকসু বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সংশপ্তক পর্ষদ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো-
১. ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জায়গায় পূরণ করা ব্যালট পাওয়া গেছে।
২. শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ব্যালটপেপার গিয়েছে ৪০০টি।
৩. ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে।
৪. প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতের অবস্থান দেখা গেছে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে।
৬. এছাড়া অন্যান্য অভিযোগও আমরা দেখতে পেয়েছি। এমতাবস্থায়, সংশপ্তক পর্ষদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরা জাকসুতে অংশগ্রহণকারী সব প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি যে, আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে এ অনিয়মের প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের ভোট ডাকাতির চক্রান্তকে সবাই একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করি।
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মওলানা ভাসানী হলের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জাকসু ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা। তারা নির্বাচনে অনিয়ম, জালিয়াতি, জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও স্ক্যানিং মেশিন কেনার অভিযোগ তুলে ধরেন।
কেআর/এমএএইচ/জিকেএস