এবার নতুন আলটিমেটাম ডিসি সারোয়ারের
সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকার অবৈধ স্থাপনা সরাতে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম। একইসঙ্গে অবৈধভাবে চলাচল করা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ১৫ দিনের ভেতরে নগরী থেকে না সরালে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সিলেট নগরীতে সিএনজিচালিত বৈধ অটোরিকশা আছে ১৯ হাজার। তবে অবৈধভাবে আছে তার চেয়েও বেশি। এগুলোকে নগরে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা অবৈধ অটোরিকশাচালকদের ১৫ দিনের সময় দিয়েছি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব সিএনজি শহরে চলাচলের লাইসেন্স নেই সেগুলো শহরের বাইরে সরিয়ে নিতে হবে। এগুলো বিভিন্ন উপজেলায় চলে যাবে। এ সময়ের মধ্যে না সরালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে ডাম্পিং করা হবে।’
সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ভেতরে গাড়ি পার্কিং না করে বাইরে সড়কে পার্কিং করা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আসলে অভ্যাসগত বিষয়। অভ্যাসের কারণে তারা আইন মানছে না। আমরা তাদের এ কাজটি না করতে বুঝানোর চেষ্টা করছি। কথা না শুনলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নগরীতে অবৈধ পার্কিং বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের জন্য পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ জন্য কোথায় কোথায় ব্যবস্থা করা যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে সিএনজি চালকরা অনেক সময় পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে সড়কে চলে আসে। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। এখন আমরা তাদের সতর্ক করছি। তারপরও তারা নিয়ম না মানলে আইনগত ববস্থা নেওয়া হবে।’
ভাঙাচোরা বাস টার্মিনালের সড়ক প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অনেক জায়গা ভেঙে গেলেও সংস্কার করা যাচ্ছে না। আমরা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি।’
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিলেট এসেছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আশা করছি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সিলেট অংশের অধিগ্রহণ কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাসলাইনসহ ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে সড়কের কাজ পুরোদমে শুরু হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সিসিকের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে সাদাপাথর ফেরত দিতে আলটিমেটাম দেন ডিসি সারওয়ার। গত ২৩ আগস্ট সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথর নিজ উদ্যোগে, নিজে খরচে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। নির্দিষ্ট সময়ের পর কারও কাছে সাদাপাথর পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানানো হয়।