এবার বাবরকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিতে বললেন শেবাগ

3 months ago 56

গেল কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব হাসানের ফর্ম নিয়ে সমালোচনা করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিরেন্দ্রর শেবাগ। সাকিব চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করছেন না, যে কারণে তার অবসর নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী তারকা। যদিও তার মন্তব্যের পরই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফর্ম করে সাকিব প্রমাণ করেছেন, তিনি পুরিয়ে যাননি।

এবার পাকিস্তানের ক্রিকেটার বাবর আজমের সমালোচনায় মেতে উঠেছেন শেবাগ। ভারতীয় ক্রিকেটার মনে করছেন, বাবরকে স্কোয়াডে রাখা পাকিস্তান দলের প্রতি সুবিচার নয়। বরং তাকে বাদ দেওয়া উচিত।

ক্রিকবাজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, ‘বাবর আজম এমন খেলোয়াড় নন যে ছক্কা মারবে। সে তখনই ছক্কা মারে, যখন সে সেট (পিচে) থাকে এবং স্পিনাররা বোলিং করে। আমি তাকে ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে খেলতে বা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে দেখিনি। যেভাবে সে মাটি কামড়ে নিরাপদ ক্রিকেট খেলে, এটা তার খেলা নয়। তাই সে ধারাবাহিকভাবে রান করে এবং তার স্ট্রাইক রেট খুব একটা ভালো নয়।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ অধিনায়ক বাবর। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে আসরের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে বাবরের দলকে। এমনটি ব্যাটার বাবরও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন অনুজ্জ্বল। ৪ ম্যাচে ৪০.৬৬ গড়ে ১২২ রান করেছেন তিনি। ব্যাট করেছেন মাত্র ১০১.৬৬ স্ট্রাইকরেটে।

শেবাগ মনে করেন, বাবর যেহেতু বেশি স্ট্রাইরেটে ব্যাট করতে পারে না, সেজন্য তাকে ব্যাটিং অর্ডার নিচের দিকে নেওয়া উচিত। যে বেশি স্ট্রাইরেটে খেলতে পারবে, এমন কাউকে উপরে আনা দরকার।

এ ব্ষিয়ে শেবাগ বলেন, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে তোমাকে ভাবতে হবে এই খেলাটি (কম স্ট্রাইরেট) দলের জন্য উপযোগী কিনা। যদি না হয়, তাহলে নিজেকে নিচের দিকে (মিডলঅর্ডারে) নিয়ে যাও এবং এমন কাউকে (উপরে) পাঠাও, যে ছয় ওভারে (পাওয়ার প্লে-তে) বড় শট খেলতে পারে এবং দলের জন্য ৫০-৬০ রান করতে পারে।’

বাবর যদি অধিনায়ক না হতো, তাহলে দলেই জায়গা পেত না মনে করে শেবাগ বলেন, ‘আমি কঠোর শোনাতে পারি। কিন্তু অধিনায়ক পরিবর্তন হলে বাবর টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য নয়। তার পারফরম্যান্স বর্তমান সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয়।’

 

এমএইচ/

Read Entire Article