এবার হোয়াইটওয়াশ হলেন জ্যোতিরা
৬ বলে ১৫ রানের লক্ষ্য। জেতার সুবাতাসই মিলছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু শেষ ওভারে স্পিনার এনে যেন কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ফল সেটাই হলো। হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এক বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলেন জ্যোতিরা। প্রথমবার আইরিশদের কাছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এমন নাস্তানাবুদ হলেন তারা; সেটাও আবার ঘরের মাঠেই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে মাত্র ১২৪ রান তোলে স্বাগতিক। একাই ৪ উইকেট নেন ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট। জবাবে ১ বল বাকি রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা। ৩১ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়া লরা ডেলানি পেয়েছেন ম্যাচসেরা পুরস্কার।
আগেই সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তারা। টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। ৪ ওভারেই ৩৩ রানের সংগ্রহ পায় তারা। এরপর ভাঙে উদ্বোধনী জুটি ১২ বলে ১২ রান করে ফেরেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। তিনে নামা শারমিন আক্তার সুপ্তার সঙ্গে রানের চাকা দ্রুতই এগিয়ে নেন ওপেনার সোবহানা মোস্তারি। ছন্দময় সুপ্তাও দলের সংগ্রহ বড় করার পথ মসৃণ করেন। তাদের ৬৭ রানের জুটি ভাঙলে ফেরেন সুপ্তা (৩৪)। ৩ রানের ব্যবধানে ফেরেন ৪৫ রান করা সোবহানাও। পরের ২৮ বলে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধ্বসই নেমেছে। মাত্র ১৬ রান তুলতেই ফেরেন ৪ ব্যাটার। প্রেন্ডারগাস্টের তোপে পড়েন তারা। দলের মিডল অর্ডারের কেউই দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেনি। এমন ব্যর্থতায় দলের পুঁজিও বলের সমানই থেকে গেছে।
ছোট লক্ষ্য পেয়ে সফরকারীরা শুরুটা করেছিল দাপুটে। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান তোলে তারা। ৮ম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। ২৪ বলে ২৮ রান করে ফেরেন ওপেনার অ্যামি হান্টার। এরপর দ্রুতই আরও ৩ ব্যাটারকে ফেরায় বাংলাদেশের বোলাররা। ৭০ রান তুলতেই ৪ উইকেট নেই আইরিশদের। পঞ্চম উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। বাংলাদেশও ম্যাচ ধীরে ধীরে লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যায়। শেষ ওভারেৃ যখন ১৫ রান করলেই জয়। তখন প্রথম বলেই দুই রান নিয়ে গিয়ে রানআউট হন আর্লেনে ক্যালি। কিন্তু এরপর স্বর্ণা আক্তারকে টানা তিন বাউন্ডারিতে জয় তুলে নেন অপরাজিত ব্যাটার ডেলানি।