এবার ৭ দাবিতে শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সমাবেশ

3 months ago 34

এবার ৭ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে যায়।

সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, ‘কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকারের সন্তানদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শূন্য করার লক্ষ্যে কোটা বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ তারা জানে যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অফিস-আদালতে থাকলে দুর্নীতি করা খুবই কঠিন হবে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য কোনো আন্দোলন হয়নি, তবে কেন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হলো? সব কোটা ঠিক থাকলো বাস্তবে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হলো, যা খুবই দুঃখজনক। অন্য কোনো কোটা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই, শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে জামায়াত-বিএনপি ও রাজাকারের সন্তানদের মাথা ব্যথা। যা কোনো অবস্থায় আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মেনে নেবো না।’

এসময় তারা সরকারের কাছে ৭ দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-

১. মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণসহ দেশের সব চাকরির নিয়োগ ও সব পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তী প্রজন্মকে এ অধিকার দিতে হবে।

২. বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির অবসরের বয়স ৬১ বছর করতে হবে।

এবার ৭ দাবিতে শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সমাবেশ

৩. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, জমি দখল বন্ধে সুরক্ষা আইন পাস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণি-মর্যাদা নির্ধারণসহ তাদের সন্তানকে স্বল্প সুদে ঋণ, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী-সন্তানদের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।

৪. মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানের জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন ও জেলা পরিষদসহ সব পরিষদে, গভর্নিং কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে ২ জন করে সদস্য নীতি নির্ধারক ফোরামে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

৫. দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে।

৬. বাজারে হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেট, ঘুস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

৭. বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মৃত্যুর পর তার ভাতার অংশ তার স্ত্রী অথবা সন্তান, বা নাতি-নাতনিদের নামে চালু রাখতে হবে।

সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন, সংগঠনের মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম পাঠান, শামসুদ্দোহা প্রিন্স, এম টিপু সুলতান, জুয়েল মিয়াসহ বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও থানা পর্যায়ের নেতারা।

এমএইচএ/এমআইএইচএস/জেআইএম

Read Entire Article