মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর হতে পারে সৌদি আরবে। আগামী মাসেই তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যেতে পারেন। সোমবার (৩১ মার্চ) হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, সফরটি আগামী মাসে হতে পারে, কিংবা তারও কিছু পরে। আমরা কাতারেও যাচ্ছি এবং সম্ভবত আরও কয়েকটি দেশে যেতে পারি। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) খুবই গুরুত্বপূর্ণ... তাই আমরা সম্ভবত ইউএই ও কাতারে যাত্রা বিরতি করবো।
আরও পড়ুন>>
- বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে পাশে থাকার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভারতীয় প্রবাসীরা কেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেনে নিতে পারছেন না?
- ট্রাম্পের চাপে বদলে যাচ্ছে ইউরোপের অবস্থান
ট্রাম্প জানান, সৌদি কর্মকর্তারা মার্কিন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রায় এক ট্রিলিয়ন (এক রাখ কোটি) ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের কোম্পানিগুলো সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের জন্য সরঞ্জাম তৈরি করবে। আর আমি মনে করি, এটি আমাদের জন্য লাভজনক।
গত জানুয়ারিতে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সৌদি সংবাদমাধ্যমগুলো তখন এই অর্থের উৎস ও ব্যবহারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফরও হয়েছিল সৌদি আরবে। প্রথম দফা ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি রিয়াদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার নতুন মেয়াদে ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আরও জোর দেবেন।
সূত্র: এএফপি
কেএএ/