এমআইই পাথওয়েজ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের প্রথম এনসিইউকে গ্র্যাজুয়েশন সেরিমণি আয়োজনের মাধ্যমে। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ইয়ার সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের সাফল্য উদযাপন করা হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্নাতকরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার ৬৫টিরও বেশি বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি স্টিভ ম্যাকগুয়ার, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়া (যুক্তরাজ্য); এনসিইউকে ইউনিভার্সিটি পাথওয়েজের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার অ্যাড্রিয়ান টিং; ক্যাপ্টেন এ কে এম গোলাম কিবরিয়া – চেয়ারম্যান, এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ; গোলাম মর্তুজা – সিইও, এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ; বেঞ্জামিন বিলভারস্টোন – সিওও, এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ; জহিরুল ইসলাম – সিসিও, এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ; এবং নীল আপটন – প্রজেক্ট ডিরেক্টর, এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ।
বক্তারা বলেন, এনসিইউকে ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ও/এএস/এ লেভেল বা এসএসসি/এইচএসসি-এর পর বাধাহীনভাবে বিশ্বমানের শিক্ষায় প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করেছে।
এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপের কান্ট্রি ডিরেক্টর জহিরুল ইসলাম এমআইই পাথওয়েজ ও এনসিইউকের অংশীদারিত্বকে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এক রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেন।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামের ছোট ক্লাস সাইজ, এক-টু-ওয়ান একাডেমিক সহায়তা, আধুনিক যুক্তরাজ্য মানের ক্যাম্পাস সুবিধা এবং পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও ভিসা সহায়তা সেবার প্রশংসা করেন।
একাধিক স্নাতক জানান, তারা বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাসেল গ্রুপ প্রতিষ্ঠানসহ কিউএস ২০২৬-এর শীর্ষ ১০ এবং শীর্ষ ২০০-তে থাকা ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি অফার পেয়েছেন।
স্নাতকদের পাশাপাশি বর্তমান পাথওয়েজ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন, সহপাঠীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং উদযাপনের আবহে নিজেদের ভবিষ্যতের মাইলফলক কল্পনা করেন।
এমআইই পাথওয়েজের সফল গ্র্যাজুয়েশন চিরামণি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিইউকের মর্যাদাপূর্ণ একাডেমিক উদযাপনের বৈশ্বিক অঙ্গনে প্রবেশ করল, যা দেশের মানসম্পন্ন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সুযোগের কেন্দ্র হিসেবে অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করল।