শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নয়, নন-এমপিও শিক্ষকদেরও বদলির সুযোগ দেওয়ার দাবি উঠেছে। এ নিয়ে আদালতে রিটও করেছেন একদল নন-এমপিও শিক্ষক। আদালত এ নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলের ‘কৌশলী’ জবাব দিতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত সব শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ করবে শিক্ষা প্রশাসন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলের সব শিক্ষকের ডাটা সংগ্রহ ও তা দিয়ে সর্বজনীন বদলরি সক্ষমতা থাকে, তাহলে তা করা হবে।
আপাতত তা সম্ভব না হলে এমপিওভুক্তদের বদলি শুরুর বিষয়ে যেন আইনি বাধা না থাকে, সেজন্য সবাইকে পর্যায়ক্রমে বদলির আওতায় আনা হবে বলে আদালতকে জানাবে মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৮ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত সব শিক্ষকের ডাটা সংগ্রহ করা হবে। মাউশির ইএমআইএস সেলের সব শিক্ষককে বদলির আওতায় আনার সক্ষমতা আছে কি না, সেটি যাচাই করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলি নিয়ে উচ্চ আদালতের রুলের জবাব কীভাবে দেওয়া যায়, সেটি নির্ধারণ করতে এ সভা ডাকা হয়েছিল। আদালতকে সব শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অবহিত করবে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলি চলমান রাখার বিষয়টিও অবহিত করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি আটকে গেলে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি আর আলোর মুখ দেখবে না। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে। এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি একটা পাইলটিং প্রজেক্ট।
তিনি বলেন, এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে সবাইকে বদলির আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। আমরা আদালতকে আমাদের মতো করে জবাব দেবো। চেষ্টা থাকবে যেন এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি যথাসময়ে শুরু করা যায়।
এএএইচ/ইএ/জেআইএম