এমবাপেকে নিয়ে ভিনিসিয়ুসদের সতর্ক করলেন নেইমার

1 month ago 16

পিএসজিতে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে এবং নেইমার। ব্রাজিল এবং ফ্রান্সের দুই তারকা একসঙ্গে খেললেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়নি। বরং, তিক্ততাই বেড়েছে বেশি। সেই অভিজ্ঞতাই নিজ দেশের ফুটবলারদের সঙ্গে শেয়ার করে সতর্ক বার্তাও উচ্চারণ করলেন নেইমার।

কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নেইমারের জন্য ছিল নরকের মতো। সে কারণে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের সতর্ক করেছেন নেইমার।

‘গোল ডট কম’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী সাংবাদিক সিরিল হানোউহা নেইমারের এই কথা জানিয়েছেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে নেইমার তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। সিরিল বলেন, ‘রিয়ালে ব্রাজিলের যে ফুটবলারেরা খেলে তারা সবাই নেইমারের বন্ধু। নেইমার ও এমবাপের মধ্যে সব সময় একটা লড়াই হত। সেটা যুদ্ধের মতো। নেইমার ব্রাজিলের সতীর্থদের একটা চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, এমবাপের সঙ্গে ওর খেলার অভিজ্ঞতা নরকের মতো ছিল। তাই রিয়ালে খেলা ব্রাজিল ফুটবলারেরা যেন আগে থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে এমবাপের বিষয়ে।’

রিয়াল মাদ্রিদে ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার খেলেন। তারা হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, মিলিতাও, রদ্রিগো এবং এনদ্রিক। তারা প্রত্যেকেই ব্রাজিল জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। নেইমার তাদের সঙ্গে খেলেন। তাদেরকেই নেইমার চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন সিরিল।

২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্যারিস সেন্ট জার্মেই-এ (পিএসজি) একসঙ্গে খেলেছেন নেইমার ও এমবাপে। দু’জনের জুটিতে ৫৪টি গোল হয়েছে; কিন্তু এই ছয় বছরে কখনওই দেখে মনে হয়নি তাদের সম্পর্ক ভাল। ফরাসি এই ফুটবলারের সঙ্গে নেইমারের বোঝাপড়া কোননোদিনই ভাল ছিল না।

নেইমার ছাড়া মেসিও এমবাপের সঙ্গে খেলেছেন। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একসঙ্গে খেলেছেন তারা। এই দু’জনের জুটিও প্যারিসে খুব একটা সফল হয়নি। মাঠে দেখে বোঝা যেত, দুই ফুটবলারের খেলার ধরন আলাদা। তার খেসারত দিতে হয়েছেন পিএসজিকে।

২০২৩ সালে প্যারিস ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে নাম লিখেন নেইমার। সে বছরই আমেরিকার মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে সই করেন মেসি।

দু’বছর পরে প্যারিস ছেড়েছেন এমবাপেও। আট বছরের সম্পর্ক কাটিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখেন এমবাপে। লা লিগায় রিয়ালের হয়ে এরই মধ্যে গোল করেছেন এমবাপে। এখনও পুরো থিতু হতে পারেননি তিনি। তার মাঝেই এমবাপেকে নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার।

আইএইচএস/

Read Entire Article