ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচে কোনো গোল নেই ফ্রান্সের। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার আত্মঘাতী গোল জয় পেয়েছে ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। বেঞ্চে বসে দলের ড্র দেখেছেন ফরাসিদের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপে।
প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ভেঙে যায় এমবাপের। যে কারণে এই ম্যাচে তার খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। শেষমেশ খেলতে পারেননি। কালো মাস্ক পড়ে বসে ছিলেন বেঞ্চে। এমবাপেকে ছাড়া ফ্রান্স ভুরিভুরি গোল মিস করে ড্র করে মাঠ ছাড়ে।
এমবাপে কি খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন? নাকি তাকে মাঠে নামানোটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল? ম্যাচের পর এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম।
কোচ বলেন, ‘নকআউট ম্যাচের জন্য আমার সিদ্ধান্ত ভিন্ন হতে পারে। আমি আশাবাদী, এমবাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফিরতে পারবে। প্রতিদিন সে ভালো হয়ে উঠছে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটি যদি ভাগ্য নির্ধারণীও হতো তাও আমি তার খেলার বিষয়ে দুইবার ভেবে দেখতাম। আমরা যেটা করছি, সেটা তার জন্য ভালো। তাকে বেঞ্চে রাখাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।’
ম্যাচে পাওয়া অনেক সুযোগের মধ্যে সহজটি মিস করেছেন অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান। ম্যাচে গোল না পাওয়ার জন্য অনেকটাই দায় তার। তারপরও ফ্রান্স দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠার জন্য ভালো একটা অবস্থানে আছে।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচ আর পরের নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে একমাত্র পরিবর্তন ছিলো এমবাপে। শেষ ষোলোতে ওঠার ট্র্যাকে থাকলেও এই ম্যাচ নিয়ে নিজের আফসোসের কথাও বলেছেন দেশম। সে আফসোস একটা সুযোগও কাজে লাগাতে না পারার।
দেদিয়ের বলেন, ‘আমরা সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি, যাতে আমাদের দলে যতটা সম্ভব ভারসাম্য থাকে। তবে আমার এ ম্যাচে যথেষ্ট দক্ষ ছিলাম না। গোল করার পাঁচ-ছয়টি সুযোগ ছিল আমাদের। আমরা পারিনি।’
আরআই/এমএইচ/