এমসি কলেজের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

1 day ago 3
সিলেটের এমসি কলেজে (মুরারিচাঁদ) ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার এক নেতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগেকার সিস্টেমের সঙ্গে ও বর্তমান সিস্টেমের কী পার্থক্য এমন মন্তব্যের জেরে ঘটনাটি ঘটে। এর জেরে ৮-১০ জন মিলে এক শিক্ষার্থীকে আক্রমণ করেছে। এর মধ্যে কিছু রাজনৈতিক পরিচয় আছে এবং কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীও আছে। মো. রিয়াজ বলেন, কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ূন কবির চৌধুরীকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান দাবি করেন, তাকে এমসি কলেজছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা মারধর করেছেন। তিনি এম‌সি কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রাবাসের প্রথম ব্ল‌কের ১১১ নম্বর কক্ষে বা‌সিন্দা। তি‌নি তালামীযে ইসলাম এমসি কলেজ শাখার সহ তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। হামলাকারীদের বিষয়ে তিনি জানান, হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানেন। তবে বাকিদের চেহারা চিনলেও নাম জানেন না। হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের ইসমাঈল, নাজমুল, আদনান, সাদমানসহ অনেকে ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জাকিরুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী। তার দাবি, তাকে মিজানুর রহমান মারধর করেছেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ছাত্রাবাসে মিজানুর রহমান ছাত্রলীগের পরিচয়ে থাকতেন। তিনি হোস্টেলে থেকে সাধারণ ছাত্রদের তথ্য ছাত্রলীগের কাছে আদান-প্রদান ক‌রেন। তাকে অস্ত্রসহ ধরা হয়েছিল। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন। এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইসমাঈল খান জানান, কলেজে বইমেলা চলছে। সেখানে ছাত্রশিবিরের স্টলে দলের নেতাকর্মীসহ তিনি দিন-রাত থাকেন। বুধবার রাতে ছাত্রাবাসে একটি ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে দেখেন দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আহতদের তিনি হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে দুজনকেই হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে দুই পরিবারের সদস্যরা তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। হামলায় ছাত্রশিবির জড়িত থাকলে তিনি সেখানে যেতেন না। আহতদের পরিবারও তাদের স্বাগত জানাত না। এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এ ব্ল‌কের হল সুপার মুসলেহ উদ্দিন খান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে দুই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে কী নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তিনি জানেন না।
Read Entire Article