এরদোয়ানের তুরস্কের প্রতি আমিরের ক্ষোভ, ছবি নিয়ে ব্যাখ্যা

2 months ago 6

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও তার স্ত্রী ইমাইন এরদোয়ানের সঙ্গে বলিউড তারকা আমির খানের ছবি ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। পুরনো সেই ছবিগুলো ফের ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ভারতীয় দর্শক।

বিশেষ করে যখন তুরস্ক কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়, তখন বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এমনকি আমিরের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে। নেটিজেনদের একাংশ আমিরকে একহাত নিয়ে বলেছেন, তিনি এমন একজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তুলেছেন যার দেশ ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

এতদিন বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন আমির খান। তিনি বন্ধু হওয়া সত্বেও ভারতের বিপক্ষে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে যাওয়ায় এরদোয়ান ও তার দেশের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

ছবির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খান পরিষ্কারভাবে জানান, বিতর্কিত ছবিগুলোর একটি ২০১৭ সালের, আরেকটি ২০২০ সালে তোলা। তার ভাষায়, ‘যখন ছবিটি তোলা হয়েছিল তখন আমার দেশের সরকারও তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। আমি একজন শিল্পী হিসেবে বিদেশে গেলে নিজ দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করি। যদি আমাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বা এক কাপ চায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেটি ফিরিয়ে দেওয়াটা আমার পক্ষে সম্মানজনক হতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২০ সালে ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন আমি তুরস্কে ছিলাম। তখন প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। তাতে কারও মন খারাপ হওয়ার কথা নয়।’

তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তুরস্কের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। বিশেষ করে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত সরকার তুরস্কের সঙ্গে সবধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ স্থগিত করেছে। বিষয়টি আমিরও সমর্থন করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুরস্ক যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত বরাবরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তার পরও তুরস্ক আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

সব বিতর্ক পেছনে ফেলে আগামী ২০ জুন মুক্তি পাচ্ছে আমির খানের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। এই ছবিতে তার বিপরীতে থাকছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। এখন দেখার বিষয়, বিতর্কের পরেও দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি কিভাবে গ্রহণ করেন।

এলআইএ/জিকেএস

Read Entire Article