চোখের পলকে আসমান-জমিন কাঁপিয়ে, ভবন গুঁড়িয়ে মাথার ওপর ওড়ে
প্রাণঘাতী ভয়ংকর বোমারু বিমান,
কানে শব্দ এলেই মনে হয় এখনই বুঝি প্রাণ যাবে, এসেছে মৃত্যুদূত উড়ন্ত যম
নিচে ট্যাংক, মেশিনগান চারিদিক ঘিরে রেখেছে সাঁজোয়া যান।
বিমান থেকে ছোঁড়ে গ্রেনেড, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে গুলি
নিমিষেই ধ্বংস হয় মানব সম্পদ-শহর-নগর উঁচুনিচু বাড়ি।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী,
মানবতাবিরোধী কোনো অপরাধ বাদ রাখেনি।
ট্রিগারে চাপ দিলেই উড়ে যায় প্রাণ, ছিটকে পড়ে পা,
হায় কোথায় মানবতা!
ঘুমঘোরে ভাইকে মারে বোনের অন্তহীন অনন্ত কান্না
ভূমিষ্ট হয়ে যে শিশু দেখে ধ্বংসস্তূপে মায়ের রক্তাক্ত শরীর
বোমার আঘাতে উড়ে যায় বাড়ি, শৈশবে শিশু হারায় দুটি হাত।
বারবার দেখি লাশের বহর, ফিলিস্তিন গাজার শহর।
মুহূর্তেই ধ্বংস হয় প্রকৃতি, মানুষ হয় বলিদান
তবুও মৃত্যুপুরী, রক্তনদী সাঁতরে বাঁচার স্বপ্ন দেখে যারা;
তাদের প্রতিটি রাত কী ভয়ংকর কালোরাত, খেলে মৃত্যু মৃত্যু খেলা।
কী নির্মম নিষ্ঠুরতা!
ত্রাণশিবিরে খাবার না দিয়ে গণহত্যা
আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল বোমার আগুনে পুড়ে ছাই,
মুখ থেকে ফেলে দেয় খাবার
মা-বোনদের সঙ্গে অসহ্য ব্যাভিচার।
কোথায় বিশ্ব মানবাধিকার?
আল আকসা মসজিদে কে দেবে আজান?
একটি রক্তাক্ত শিশু, ধ্বংসস্তূপ থেকে আল আকসার দিকে এগিয়ে আসছে
পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ, উদয় থেকে ইমাম মাহদীর একটি শক্তিশালী আজান,
প্রতিধ্বনির অপেক্ষায় পৃথিবী।
রক্তচোষা খুনি ইসরাইল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা সৃষ্টি করে
ট্রাম্প-নিয়াহু দূর ইরানে, একশ বোমারু বিমানে আঘাত হানে।
ন্যাটোর নেতৃত্বে দখল করতে চায় মুসলিম বিশ্ব, সমুচিত জবাব দিলে ছুঁড়বে মারণাস্ত্র।
মুসলিম দেশে দেশে পাঠায় ভয়ংকর সব বোমারু বিমান
ক্ষমতাবানদের যন্ত্র কৌশলের কাছে পৃথিবী জিম্মি।
আমরা দেখেছি এক যুদ্ধবিহীন মহামারি, অসহায় পৃথিবী
তখন পৃথিবীর সমস্ত মানুষ মৃত্যু ভয়ে ছিল ঘরবন্দি।
বিবেকহীন ট্রাম্প-নিয়াহু, বিশ্বকে পদতলে রেখে মানুষ হত্যার নেশায় মত্ত,
এখানে লাশের স্তূপ; ক্ষুধার্ত আহত মানুষের মর্মস্পর্শী কান্না
চোখের জল, বারুদের গন্ধ আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে
রক্তে লাল ফিলিস্তিনের মাটি ও প্রতিটি বালু কণা
কী লোমহর্ষক বেদনাশিক্ত রক্তরাঙা প্রান্তর, ফিলিস্তিন গাজার শহর
প্রযুক্তির গুণে ভেসে আসে কাছের ও দূরের মৃত্যুর খবর।
এসইউ/এমএস