এসএসসির খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

3 weeks ago 7

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার দায়ে ৭১ জন প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

আগামী ৫ বছর এসব শিক্ষক কালো তালিকাভুক্ত থাকবেন। তারা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত কোনো পাবলিক পরীক্ষায় প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক বা নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বুধবার (২০ আগস্ট) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কালো তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের নাম দ্রুত ই-এফটি থেকে কর্তন করে বোর্ডকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ একাধিক জেলার শিক্ষক।

বিষয়ভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি শিক্ষক কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্রের। এর বাইরে বাংলা, গণিত, উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা, ব্যবসায় উদ্যোগ, হিসাববিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যায়নে অবহেলার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

আর শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ সহকারী শিক্ষক, আবার অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ। তাদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মুরাইদ গড়বাজার আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইসহাক আলী, রাজবাড়ীর আরাবাড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মান্নান, নারায়ণগঞ্জের হাজী পান্ডে আলী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিশির কুমার বালা, মানিকগঞ্জ সরকারি হাই স্কুলের শিক্ষক মো. মোস্তাক আহমেদসহ অনেকে।

ঢাকা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই শিক্ষকদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যে কোনো পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবহেলার ঘটনা প্রমাণিত হলে একইভাবে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

কালো তালিকাভুক্ত ৭১ শিক্ষকের নাম পরিচয় দেখুন এখানে

এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article